কলকাতায় চাঁদি ফাটা গরম। এই অসহ্যকর গরমে হাতছানি দিয়ে ডাকছে পাহাড়। ভাবছেন অল্প দিনের মধ্যে কোথায় যাবেন, বুঝতে পারছেন না? আপনার জন্য রইল ফিক্কাল গাঁওয়ের (Fikkalay Gaon) খোঁজ। উত্তরবঙ্গের অফবিট ডেস্টিনেশন (Offbeat Destination) এই ফিক্কালে গাঁও। কালিম্পংয়ের ছোট গ্রাম। প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিয়েছে পাহাড়ের এই গ্রামকে। এই স্থানটি খুব বেশি খ্যাত না হওয়ায় এখানে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে, ফলে এখানে প্রকৃতিকে খুজে পাবেন তার নিজস্ব রুপে।
কালিম্পং (kalimpong) শহর থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ফিক্কালে গাঁও। এনজেপি (NJP) থেকে দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিমি। এখান থেকে ডেলো মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। ফিক্কালে গাঁওয়ের হোমস্টেতে বসে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kangchenjunga) দৃশ্য। কিন্তু এখানে এলেই যে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন এমনটা নয়। অবশ্যই আকাশ পরিষ্কার থাকা চাই। কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন আপনার ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেবেন। এতে মন খারাপ করার মতো কিছু নেই। দেখার মতো আরও অনেক ভিউ পয়েন্ট পাবেন।
সকালে উঠেই বেরিয়ে পড়ুন গ্রামের পথ ধরে। নির্জন পথ ধরে হাঁটতে থাকুন। এখানে রয়েছে অপূর্ব এক মনাস্ট্রি। কাছেই একটি হনুমান মন্দিরও রয়েছে। ফিক্কালে গাঁও থেকে কিছুটা এগোলেই ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে তিস্তা, রংপো বাজার, কালিম্পং, দার্জিলিং সবটা দেখতে পাবেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে আর ভাগ্য সহায় থাকলে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখতে পাবেন। ফিক্কালে গাঁওয়ের পাহাড়ি রাস্তা ধরে কিছুটা দূর এগোলেই পৌঁছে যাবেন গ্রামের গুম্ফায়। গুম্ফার পাশের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোলেই পৌঁছে যাবেন ডেওরালি দাঁরা ভিউপয়েন্ট।এই ভিউ পয়েন্টই ফিক্কালে গাঁওয়ের মূল আকর্ষণ।
কিন্তু এখানে এলে ডেলো পাহাড়টা মিস করবেন না। কাছেই রয়েছে কালিম্পং সায়েন্স সেন্টার।ডেলোতে প্যারা গ্লাইডিংয়ের সুবিধা আছে। এখানে মিডিয়াম ও হাই ফ্লাইয়ের সুবিধা রয়েছে। ফিক্কালে গাঁওয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন ভোলানো। আর এখানকার আবহাওয়াও বেশ মনোরম। সুতরাং, বছরের যে সময়তেই আপনি ফিক্কালে গাঁও আসতে পারেন। এখানে থাকার অনেক হোমস্টে পাবে।
কীভাবে যাবেন?
এনজেপি, বাগডোগরা বা শিলিগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন ফিক্কালে গাঁও। অথবা কালিম্পং থেকে গাড়িতে চলে আসতে পারেন ফিক্কালে গাঁও।