হাঁসফাঁস গরম থেকে বাঁচতে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসুন ভারত-ভুটান সীমান্তের (India-Bhutan Border) ছোট্ট গ্রাম থেকে। সবুজ ঘেরা পাহাড়, পাখি কুহুতান, জঙ্গল ফুল কি নেই এই ছোট্ট গ্রামটিতে। এখানে পাবেন প্রাকৃতিক প্রশান্তি আর নির্জনতা। এমনই এক অফবিট জায়গা (Offbeat Destination) রয়েছে কালিম্পংয়ে (Kalimpong)। কালিম্পংয়ে চিসাং (Chisang)। মেঘে ঢাকা চিসাং যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ।
কালিম্পংয়ের চিসাং(Chisang)। ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। ছবির মতো সুন্দর। কালিম্পংয়ের চিসাং(Chisang)। ভুটান সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। ছবির মতো সুন্দর। কালিম্পং জেলার তোদে তাংতা গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গ্রামটি। সেদিক থেকে বলতে গেলে পশ্চিমবঙ্গেরই অংশ চিসাং। তার একদিকে ভারত আর অন্যদিকে ভুটান। এলাচ চাষের জন্য বেশ নাম ডাক রয়েছে এই গ্রামের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে এখানকার উৎপাদিত এলাচ। চিসাংয়ে একদিকে যেমন পাহাড়ের মনোরম শোভা অসংখ্য নাম না জানা পাখি দেখা যায় এই গ্রামে। এমনকী চিসাংয়ের হোমস্টেতে বসে দেখা যাবে ডোকলাম আর নাথুলার পাহাড়। এই গ্রামের খুব কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে দাবেখোলা। এই দাবাখোলার এক পারে চিসাং আর অন্য পারে ভুটান। এখানকার অর্কিড ফুলের বাহার এবং অরগ্যানিক ফসলের চাষ চিসাংয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন:Weather Update | কিছুক্ষণের মধ্যেই ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি, জারি কমলা সতর্কতা
চিসাং থেকে ঘুরে নিতে পারেন তোদে, তংতা, রংপো, দলগাঁও, ঝালং, বিন্দু, প্যারেন, বৌদ্ধগুম্ফা। পাক দণ্ডি বেয়ে পাহাড়ের ওপারে চলে গেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভুটানে। তবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চিসাং বেড়ানোর ভালো সময়। হাঁসফাঁস গরম থেকে বাঁচতে দুদিনের জন্য কাটিয়ে যেতে পারেন চিসাং।
কী ভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে সোজা সেভক, চালসা, খুনিয়া মোড়, ঝালং, গৈরিবাস, প্যারেন, আপার প্যারেন হয়ে চিসাংয়ে পৌঁছে যেতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে চিসাং প্রায় ১০০ কিমি। সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘণ্টা মতো। প্যারেন থেকে বেশ চড়াই রাস্তা। ট্রেনে নিউ মাল জংশনে নেমেও গাড়ি ভাড়া করে আসা যায় চিসাং। দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিমি। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন নিরিবিলি ছোট্ট গ্রাম চিসাং।