মুর্শিদাবাদ: কোভিড পরিস্থিতিতেই এবারে ঘোষণা করা হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। ৪৯৯ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম মুর্শিদাবাদের রুমানা সুলতানা। মণীন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। ২০১৯ সালে ৬৮৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছিল রুমানা। কান্দি থানার শিবরামবাটি এলাকার বাসিন্দা। কলকাতা টিভির সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেয়ার করলেন নিজের ভাললাগা মন্দলাগা।
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিকে সেরা মুর্শিদাবাদের রুমানা
২০১৯ সালে মাধ্যমিকে পঞ্চম। ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই খুব খুশি রুমানা। বললেন, ‘পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি খুব ভাল ছিল তাই পরীক্ষা দিতে পারলে আরও ভালো লাগত। তবে সংসদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমি সমর্থন করি। এমনটাই জানান রুমানা।’
আরও পড়ুন বরফ গলার ইঙ্গিত, সিধুর শপথে উপস্থিত থাকবেন অমরিন্দর
একাদশ শ্রেণির ফলাফলের মূল্যায়ন এবং মাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। তাই উচ্চমাধ্যমিকেও ভালো নম্বর প্রত্যাশিত ছিল। রুমানার পছন্দের বিষয় জীববিদ্যা। জীববিদ্যা নিয়ে ভবিষ্যতে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। এ ছাড়াও যদি জয়েন্ট দিয়ে মেডিক্য়ালে ভালো কলেজ পেলে ডাক্তারি পড়তে চাইছেন মুর্শিদাবাদের মেয়ে রুমানা সুলতানা। অবসর সময়ে গান শোনেন। কবিতা লেখেন। হাতের কাছে যা পান তাই পড়েন। ম্যাগাজিন খবরের কাগজ সব। সাফল্যের পিছনে তাঁর সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা মা-বাবা। বাবা-মার সহযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষকদের কথাও বলছেন রুমানা। জানিয়েছেন অনেক শিক্ষকরাই সাহায্য করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা সময় পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় বসে থাকেননি। বিভিন্ন ন্যাশনাল পরীক্ষাগুলির জন্য প্রস্তুচি নিয়েছেন রুমানা। জয়েন্টও দিয়েছেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ শতাংশ। এখনও নিট (NEET) পরীক্ষা বাকি রয়েছে। আগামী দিনে পরীক্ষার্থীদের জন্য় রুমানার পরামর্শ, র্যাঙ্ক করতেই হবে এটা মনে থেকে তাড়িয়ে, মন দিয়ে পড়লে এমনিই ফলাফল ভালো হবে।
আরও পড়ুন করোনা আবহে টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধন শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটেয়
পড়াশোনার দিক দিয়ে সচেতন হলেও নিজের শরীর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে একেবারেই খেয়াল নেই রুমানার। খাওয়া-দাওয়া না করার জন্য খুব একটা শরীর খুব একটা ভালো থাকে না তাঁর। যার জন্য প্রায়ই তাঁকে বকুনি খেতে হয় তাঁর মায়ের কাছে । গান শোনা, কবিতা লেখা, খবরের কাগজ পড়ার পাশাপাশি ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসে রুমানা। কোভিডকে একদম সামনে থেকে দেখেছে, কোভিডের কারণে মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত স্তরের পড়ুয়ারাই আজ ক্ষতিগ্রস্ত। তাই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ যাতে আগামী দিনে আরও উজ্জ্বল হয় তাই চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে রুমানার।
আরও পড়ুন মোদি-শাহ চুপ কেন, সংসদে দাঁড়িয়ে জবাব দিন: মমতা