মুম্বইতে ‘বচ্চন পাণ্ডে’-র শেষ পর্যায়ের শ্যুটিং চালাচ্ছেন অক্ষয় কুমার। অক্ষয় অভিনীত ছবির শ্যুট মানেই সকাল সকাল ইউনিটের কল টাইম। ‘বচ্চন পাণ্ডে’-ও তার ব্যতিক্রম নয়। সকাল ৫.৩০টার মধ্যেই সেটে হাজির হয়ে যাচ্ছেন অক্ষয়। তবে কৃতি শ্যানন এবং আর্শাদ ওয়ারসি আসছেন একটু বেলায়। বায়ো বাবলে সমস্ত রকম কোভিড সুরক্ষা মেনেই চলছে ছবির শেষ পর্যায়ের শ্যুটিং।
সদ্যই আন্ধেরির পিভিআর এলাকায় ‘বচ্চন পাণ্ডে’-র শ্যুটিং-এ হাজির হয়েছে ছবির কলাকুশলীরা। কোভিড সতর্কতা মেনে পিভিআর এবং মাল্টিপ্লেক্স বন্ধ থাকলেও শ্যুটিং স্পটে আক্কিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকেই। কোভিড সতর্কতা বজায় রাখতে এবং শ্যুটিং করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রেখে রীতিমতো নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে পিভিআর এলাকায় শ্যুটিং সারছেন আক্কিরা।
শোনা যাচ্ছে আন্ধেরিতে ‘বচ্চন পাণ্ডে’-র একটি ক্রাউড সিকোয়েন্সের শ্যুটিং হবে। ওই দৃশ্যটি শ্যুট করার জন্য প্রায় ২০০জন অভিনেতার প্রয়োজন। অচেনা- অজানা ২০০জন অভিনেতাকে সেটে প্রবেশাধিকার দিয়ে কোভিডের ভয় বাড়াতে চায় না টিম ‘বচ্চন পাণ্ডে’। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্যেই ২০০জনের কোভিড টেস্টের ফল নেগেটিভ আসার পরই তাদের সেটে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী তিন দিন আন্ধেরীর পিভিআর এলাকাতেই চলবে ক্রাউড সিকোয়েন্সের শ্যুটিং। পিভিআর এলাকাতেই এক রকম নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছে টিম ‘বচ্চন পাণ্ডে’।এমনকি মাল্টিপ্লেক্সের সঙ্গে লাগোয়া শপিং মলে ঢোকার দরজাও তাঁরা ব্যবহার করছেন না। ‘বচ্চন পাণ্ডে’-র সেটে অক্ষয়ের আর দিন দুয়েকের শ্যুটিং বাকি আছে। তারপরই তিনি মন দেবেন ‘রক্ষা বন্ধন’-এর কাজে। সেই ছবির জন্য ৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন খিলাড়ি কুমার।