Placeholder canvas
কলকাতা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ |
K:T:V Clock
Aajke | তৃণমূল, জাতীয় তকমা ভ্যানিস
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:১৪:৩২ পিএম
  • / ২৩৬ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

নিত্যনতুন ফরমান জারি হয় এই মোদি রাজত্বে। তো গতকাল বারবেলা কেটে সন্ধে হব হব, সেই সময় জানা গেল তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা ভ্যানিস। তৃণমূলিরা দুঃখে কাতর হওয়ার আগেই খবর, সিপিআই, এনসিপিরও জাতীয় তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কট্টর তৃণমূলি হাবুলদা একটু সামলে উঠে জিজ্ঞেস করল, এবার কী হবে? অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এবার শুধু তৃণমূল? মাধাই হালদার বিড়িতে একটা ঘন টান দিয়ে বলল, তাহলে কি এমপি নির্বাচনে দল লড়বেই না? কেলোদা শুনছিল সব, এতক্ষণ পরে সে বলল, ওসব কিচ্ছু নয়, যেমন ছিল তেমনই চলবে। হাবুল এবার তেড়িয়া, ইয়ারকি হচ্ছে নাকি, তাহলে সে তকমাটা ছিলই বা কেন? কেলোদা হাসল এবং চায়ের দোকান থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিল, বললো, ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন, বুঝলি। পুরো চায়ের দোকান ঘেঁটে ঘ। আজ্ঞে হ্যাঁ সেই ফরমান, যে ফরমানে কেড়ে নেওয়া হল তৃণমূল, সিপিআই আর এনসিপির জাতীয় দলের তকমা, সেটাই বিষয় আজকে।    

দেশ স্বাধীন হল, সারা দেশ লড়েছে স্বাধীনতার জন্য, বা লড়েনি, ইংরেজদের পদলেহন করেছে, সে যাই করুক, সারা দেশ জুড়েই করেছে। কাজেই সেই চম্পারণ সত্যাগ্রহ বা বরদৌলির সত্যাগ্রহ বা লবণ আইন ভঙ্গ বা ৪২-এর ভারত ছাড়ো, কংগ্রেসের আন্দোলনে এসেছে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমের মানুষজন। হ্যাঁ, হাত মিলিয়েছিল হিন্দু মহাসভা ইংরেজ, কিন্তু হিন্দু মহাসভার সদস্যরা উত্তর ভারত, পশ্চিম ভারত, পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে ছিল, দক্ষিণেও যে একেবারে ছিল না তাও নয়। এবং কমিউনিস্ট পার্টি, দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্বে ছিল আর উত্তরে কানপুরে তো তার জন্ম। কাজেই কংগ্রেস কমিউনিস্ট বা হিন্দু মহাসভা বা পরে জনসঙ্ঘ জাতীয় রাজনীতি করতেই এসেছিল।

৪৯-এ দ্রাবিড় রাজনীতি নিয়ে ডিএমকে পথচলা শুরু করলেও ৬২ থেকে রাজ্য রাজনীতিতে ক্ষমতাবান হয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু ওই তামিলনাড়ুর বাইরে তাদের রাজনীতি নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না, এখনও নেই। ওদিকে দেশের প্রথম ধর্মভিত্তিক অকালি দল ১৯২০তে পথচলা শুরু করলেও রাজ্য রাজনীতিতে প্রথম ক্ষমতায় আসে ১৯৬৬তে। অকালি দলেরও রাজ্যের বাইরে ছড়ানোর কোনও প্রশ্ন ছিল না এখনও নেই। ওই ৬৬-তেই মুম্বইতে শিবসেনা তৈরি হল, যা রাজ্যের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার তেমন কোনও চেষ্টাও করেনি, কারণ তাদের দলের অন্যতম শর্তই হয়ে ওঠে ‘মারাঠা মানুষ’। সেই অর্থে ওটাই ছিল প্রথম ভাষাভিত্তিক আঞ্চলিক দল, এরপরে বিএসপি, তারপরে জনতা দলের অসংখ্য টুকরো এবং ১৯৮২তে দক্ষিণে এনটি রামা রাওয়ের তেলুগু দেশম, ওড়িশাতে ১৯৯৭-এ বিজু জনতা দল, ৯৮-এ তৃণমূল দল, ২০০১-এ টিআরএস, এখন যা বিআরএস ভারত রাষ্ট্র সমিতি হয়েছে। আরও অনেক ছোট ছোট আঞ্চলিক দল আছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে বা দেশের বিভিন্ন অংশে। আঞ্চলিক চাহিদা থেকেই এই সব দল গড়ে ওঠে, জাতীয় হয়ে ওঠার উপাদান এই দলগুলোতে ঐতিহাসিকভাবেই ছিল না, চেষ্টা হয়েছে বটে কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। ব্যতিক্রম আপ, কারণ তার জন্ম কোনও রিজিওনাল অ্যাসপিরেশন, আঞ্চলিক চাহিদা থেকে নয় বরং দেশজোড়া দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন থেকেই জন্ম নিয়েছে আপ। কাজেই জাতীয় রাজনীতিকে মাথায় রেখে, সেই অর্থে সত্যি করেই যদি আমাদের দেশে কোনও জাতীয় দল থাকে তা হল কংগ্রেস এবং বিজেপি আর কিছুটা হলে আপ এবং সিপিএম। সিপিএম কেবল দল নয় তার ছাত্র, শ্রমিক বা কৃষক ইত্যাদি শাখা সংগঠনের অস্তিত্ব নিয়েও সারা দেশে অল্পবিস্তর ছড়িয়ে আছে। আপ-এর সেসব কিছুই নেই কিন্তু কংগ্রেসের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থান তাদের উত্থানের কারণ, এখনও অবধি সেটাই সত্যি। এটাও একটা প্রশ্ন যে এই জাতীয় দলের তকমা, কোনটা রাজ্যের দল, কোনটা জাতীয় দল, এসব নিয়ে কি মানুষ খুব একটা মাথা ঘামায়, মানুষের কি কিছু এসে যায়?

দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সংসদ, সেখানে এই বাংলার তৃণমূলের দুই সদন মিলিয়ে ৩৬ জন সাংসদ, রাজ্যে ২২৬ জন বিধায়ক। তামিলনাড়ুতে ডিএমকের ৩৪ জন সাংসদ, ১৩৩ জন বিধায়ক। অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআরসিপি, জগন রেড্ডির দলের ৩১ জন সাংসদ, ১৪৭ জন বিধায়ক। তেলঙ্গনায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির ১৬ জন সাংসদ, ১০৩ জন বিধায়ক অথচ। এরা জাতীয় দল নয়। এই ফরমান আমাদের ফেডেরাল স্ট্রাকচারের সঙ্গে কি খাপ খায়? তার মানে এক রাজ্যের মানুষের পছন্দের এক দল জাতীয় রাজনীতির ঘোষিত প্রতিনিধি হতে পারবে না? তুলনায় তার চেয়ে অনেক কম শক্তিশালী অন্য কোনও দল কেবল সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে জাতীয় দল হবে? ১৯৬৮ সালে আমাদের এই জাতীয় দলের প্রয়োজনীয় সংখ্যা বা ভিত্তির ঘোষণা হয়েছিল। তারপর থেকে দেশ অনেক বদলেছে, আজ দেশের প্রায় প্রত্যেক প্রান্তে আঞ্চলিক চাহিদা নতুন দলের জন্ম দিচ্ছে, তারা মানুষের সমর্থনও পাচ্ছে, তাদেরকে সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে খাটো করে দেখানো হলে তা আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় ধারণাকে কখনই সুদৃঢ় করবে না। তকমা কার কাড়া হল, সেটা বড় কথা নয়, কেন কাড়া হল, সেটা একটা নতুন সমস্যার জন্ম দেবে না তো? আপনারা কী বলেন? মতামত দিন দেখতে থাকুন ‘আজকে’।

 

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭
১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪
২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

ইউরোপার ফাইনালে মুখোমুখি ম্যান ইউ-টটেনহ্যাম
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
ভারত-পাক সংঘাতে কার পাশে আমেরিকা? জানুন বড় আপডেট
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
ফের পাকিস্তানের ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করল ভারত, তছনছ ১৬ টা শহর
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
পাক সেনার গোলা ছিনিয়ে নিল ভারতীয় মহিলা প্রাণ
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
অ্যাকশন মোডে ভারত, জ্বলছে করাচি, এবার পাকিস্তানের কী হবে?
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
আকাশপথে দুর্ভেদ্য ভারত! ফের ভূপাতিত ৫০-এর বেশি পাক ড্রোন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
ভারতের প্রত্যাঘাত, পাক সেনাকর্তারা পালাচ্ছেন বিদেশে!
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
স্বাধীন রাষ্ট্রের পথে বালুচিস্তান ?
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
রাজস্থানে ভারত-পাক সীমান্ত পুরোপুরি সিল করা হল
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
জলপথে পাকিস্তানের করাচির পোর্ট ধবংস করল INS-Vikrant
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবে বন্ধ থাকতে চলেছে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
আগামিকাল সকাল ৯ টায় বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠক
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
বেহাল প্রতিরক্ষা, পাকিস্তানের সেনা বিদ্রোহ, রাষ্ট্রায়ত্ত দায়ে গ্রেফতার সেনাপ্রধান
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
জলন্ধরে কিভাবে পাক ড্রোন ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা, দেখুন ভিডিও
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
পাক প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ আমেরিকার
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team