আমরা কেউই পার্ফেক্ট না। আর এই পার্ফেক্ট না হওয়াটাই আমাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে। তাই দু’জন মানুষ যখন প্রেমের সম্পর্কে (love relatioships) বাঁধা পড়েন তখন প্রথম প্রথম সব কিছু ভাল চললেও জীবনের ওঠাপড়া ছাপ পড়ে সম্পর্কেরও ওপর। সম্পর্ক যেমন ভাল সময় আসে তেমন আসে খারাপ সময়ও। সম্পর্কের এই ওঠানামার সঙ্গে নিজেকে এবং নিজেদের মানিয়ে নিতে পারলেই দীর্ঘস্থায়ী হয় সম্পর্ক। তবে এটা বলা যত সহজ কাজে করা কিন্তু ততটাই কঠিন। তাই ভালোবাসার সুন্দর সম্পর্ক যাতে দিনে দিনে তিক্ত হয়ে ওঠে একেবারে বিষিয়ে না যায় তার জন্য মেনে চলুন এই বিষয়গুলো।
সন্দেহবাতিক
যে কোনও সম্পর্কে বিশ্বাসটা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ভালোবাসার সম্পর্ক এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভালোবাসার মানুষের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকে পাহাড় প্রমাণ। আর তার সামন্যতম চ্যূতি বিচ্যূতি হলেই যত কষ্ট- অশান্তি। তাই ভালোবাসার সম্পর্কে রাগ, ক্ষোভ যাই থাকুক তা প্রকাশ করে ফেলুন কিন্তু ভুলেও সন্দেহ ঢুকতে দেবেন না। সন্দেহবাতিক অনেকটা উঁইয়ের মতো একটু একটু করে সম্পর্কের পুরো ভিতটাই যেন নষ্ট হয়ে যায়।
সম্পর্কে স্পেস খুবই প্রয়োজনীয়
ভালোবাসার মানুষকে কাছ ছাড়া করতে চান না অনেকেই। কিন্তু এই অভ্যেস বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার সম্পর্কে। তাই সম্পর্কে একে অপরকে স্পেস দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোনও কারণে আপনার পার্টনার যদি বিষয়টা বুঝতে না পারে তাহলে তার সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করুন।
চিত্কার করা
মেজাজ যতই খারাপ থাকুক না কেন পার্টনারের সঙ্গে চেঁচিয়ে কথা না বলার চেষ্টা করুন। চিত্কার চেঁচামেচ করলে সেখান থেকে মনে একটা তিক্ততা তৈরি হয়। সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে কোনও ভুল বোঝাবুঝির ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলুন।