প্রথম প্রেম হোক কিংবা ভাঙা মন ফের একবার জোড়া লাগার মুহূর্ত, প্রেমে পড়া ব্যপারটা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর। সেই কবেই তো নচিকেতা গেয়েছেন প্রেমে পড়তে লাগে না বয়স, আমি বলব শুধু বয়স কেন প্রেমে পড়ার মুহূর্তে মাথায় থাকে না অনেক কিছুই। যতই ইন্টেলেকচুয়ালদের মতো বলি না কেন এ সবই হরমোনের খেলা তবে এই খেলার যে কোনও নিয়ম কানুন মেনে হয় না। এ রপ্ত করাও সাধ্যের বাইরে। এর পরতে পরতে রয়েছে চমক। তবে প্রেমে পড়ার পর কয়েক মাসের শেষ যখন প্রেমে মুগ্ধ থাকা পর্বের ইতি হয় তখন মালুম হয় কত ধানে কত চাল। তখন দেখা দেয় হাজারো মতের অমিল, বোঝাপড়ার গন্ডগোল আরও কত কিছু। আজ কাল এই পর্বেই ছন্দপতন ঘটে অধিকাংশ সম্পর্কের। প্রেমের পথে হাজারো চড়াই উতরাই পড়লেও বাধন যাতে আলগা না হয় তাই সম্পর্কে থাকলে মেনে চলুন এই কয়েকটা বিষয়-
View this post on Instagram
একে অপরকে সময় দিন
বর্তমান যুগে ব্যস্ত সবাই। তবে সম্পর্ক ভাল রাখতে চাইলে চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও মনের মানুষের জন্য সময় বার করতেই হবে। বা বলা ভাল করা উচিত। প্রেমের সম্পর্ক অনেক গাছের চাড়ার মতো, সময় সময় সার না দিলে পরিচর্যা না করলে যেমন চাড়া আর গাছ হয় না শুকিয়ে যায় ঠিক তেমনই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন একে অপরের সঙ্গে খানিকট ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটানো। এই সময়টা শুধু নিজেদের নিয়ে কথা বলুন, ভুলে থাকুন কাজের চাপ, এড়িয়ে যান ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের হাতছানি।
View this post on Instagram
শুধু প্রেম নয় যে কোনও সম্পর্কে সম্মান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি
ছোট কিংবা বড় সকলেই সম্মানের যোগ্য। নিজে সম্মান পেতে চাইলে অন্যকে সম্মান দেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে আমাদের একের অপরের কাছে এমন পাহাড় প্রমান চাহিদা বা দাবিদাওয়া থাকে যা অন্য কোনও সম্পর্কে থাকে না। আর এখানেই সম্পর্কে থাকা দু’জন মানুষ অনেকে ক্ষেত্রেই একে অপরের আলাদা অস্তিত্ব ভুলে যান। ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ নিয়ে ফেলেন। এমনটা করা চলবে না, একে অপরের খারাপ লাগা, ভাল লাগা মাথায় রাখতে হবে। কোনও বিষয়ে একে অপরের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সম্মান করতে হবে।
View this post on Instagram
ছোট ছোট বিষয়গুলোকে মনে রাখার চেষ্টা করুন
পার্টনারের ছোট ছোট ভাল লাগা, পছন্দের কথা মনে রাখার চেষ্টা করুন। মনে না থাকলে লিখেও রাখতে পারেন। মাঝে মধ্যে তাঁকে তাঁর পছন্দের খাবার বানিয়ে, কিংবা পছন্দে রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যাওয়া বা একসঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তাঁর পছন্দের কাজ বেছে নিতে পারেন। এগুলো সম্পর্ক ভালো রাখার ‘বেবি স্টেপসের’ মতো। সহজ, সামান্য ব্যপার কিন্তু এগুলোই একে অপরের প্রতি ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখে।
View this post on Instagram
উইকেন্ডে একসঙ্গে সময় কাটানো
দু’জনেই ‘ওয়ার্কিং’,এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো সত্যি কঠিন। তবে মন থেকে চাইলে সব সম্ভব। তাই অন্তত ছুটির দিন বা সপ্তাহান্ত অবশ্যই এক সঙ্গে কাটান। এই সময় প্রয়োজনে লোক লৌকিকতা ভুলে থাকুন। সামাজিক জীবন অবশ্যই প্রয়োজনীয় তবে ব্যক্তিগত জীবনে যদি খেই হারিয়ে যায় তখন অন্য কোনও কিছু কাজে আসে না।
View this post on Instagram
একে অপরকে উপহার দিন
উপহার দেওয়া মানেই যে দামি কিছু দিতে হবে তা কিন্তু নয়। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা প্রথম দেখার দিনে, সম্পর্কের বর্ষপূর্তি এই সব যে মুখস্থ রাখতে হবে তার কোনও মানে নেই। বরং একে অপরকে সারপ্রাইজ গিফট দিন। দেখবেন দুজনেরই মন ভাল হয়ে যাবে। গিফটের জন্য পছন্দের কুকিজ, চকোলেট, ফুল এমনকি ছুটির দিনে লং ড্রাইভ কিংবা কাছে পীঠে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এই সব চমকগুলো জানবেন চির সজিব রাখবে আপনার সম্পর্ক।
না বলারও প্রয়োজন আছে
সম্পর্ক ভাল রাখতে গিয়ে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে সব সময় প্রিয় জনের সুরে সুর মেলাতে হবে তেমনটা কিন্তু নয়। আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বা পার্টনারের কোনও ভুল অভ্যেসকে প্রশয় দেবেন না। চিন্তা নেই এতে সম্পর্কের ক্ষতি হবে না। সাময়িকত রাগারাগি হলেও জানবেন বুঝিয়ে বললে আপনার পার্টনারও আপনার যুক্তি বুঝবে।
View this post on Instagram
পার্টনারের ওপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল হওয়া
পার্টনারের ওপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়। আজকাল এই অভ্যেস কেউ পছন্দ করে না। তাই স্মার্ট হন দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো অনেক বিষয় নিজে করার চেষ্টা করুন। আগেকার দিনের মতো কোনও জেন্ডার ডিফাইন্ড রোলে নিজেকে তৈরি করবেন না। বরং নিজের আলাদা ব্যক্তিসত্তা তৈরি করুন। এটা যে কোনও সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।