কাঁথি: প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু-তদন্তে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়িতে ফের সিআইডি(CID)। যে বাড়িটিতে দেহরক্ষী থাকতেন সেই বাড়িতে পুনরায় তদন্তে সিআইডি দল। যে জায়গায় দেহরক্ষী শুভব্রত গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সেই জায়গার স্কেচ তৈরি করেন। গোয়েন্দারা শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের ভিডিওগ্রাফি করেছেন। এলাকারও ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। ৪ সদস্যের সিআইডি টিম তদন্ত চালাচ্ছে। শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে মহিষাদলে সিআইডি
শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে নামল সিআইডি৷ সোমবার দুপুর ১টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ চার সদস্যের দল নিহত রক্ষীর মহিষাদলের বাড়িতে যান৷ আধঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে৷ সেখান থেকে তদন্তকারী দল চলে যায় কাঁথি থানায়৷ তবে তদন্তের স্বার্থে সিআইডির আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান শুভব্রত চক্রবর্তী৷ সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁরই নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন শুভব্রত৷ মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা জানান, ১৪ অক্টোবর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর৷ শুভব্রতর শরীরে গুলি লেগেছিল৷ কিন্তু কী করে তিনি গুলিবিদ্ধ হন সেটা সুপর্ণা বা পরিবারের কারও কাছে আজও স্পষ্ট নয়৷ সেই ঘটনার আড়াই বছর পর ৭ জুলাই কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা৷ নিহতের স্ত্রীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তখন রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ তাই তখন তিনি ভয়ে মুখ খোলেননি৷ এখন পরিস্থিতি আলাদা৷ শুভেন্দু অধিকারীর দাপট অনেকটাই কমেছে৷ তাই এখন তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিচার চান৷
আরও পড়ুন: পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দু, দায়িত্ব পেলেন সৌমেন
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৬-৭ বছর শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তখন স্বামীর সঙ্গে কাঁথিতেই থাকতাম৷ আমাদের দুই সন্তান আছে৷ ঘটনার দিন প্রতিদিনের মতো সকালে কাজে বেরিয়ে যান শুভব্রত৷ পরে জানতে পারি, আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়ই৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারি শুভব্রত-র গুলি লেগেছে৷ শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷’ অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে অনেক দেরি করে৷ এমনকী কলকাতায় নিয়ে আসার পরেও হাসপাতালে কোনও চিকিৎসায় হয়নি শুভব্রতর৷ সুপর্ণার প্রশ্ন, রাজ্যের মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে এল? কেন হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল শুভব্রতকে?