হেয়ার কালারের জাদুতে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ। কত রকমের যে শেডস আর কত রকমের চুল রাঙিয়ে নেওয়ার কায়দা তা দেখলে সত্যি তাক লেগে যাওয়ার উপক্রম। তবে এই ভিড়ের থেকে আলাদা কেউ কেউ এমন আছেন যাঁরা চুলের ক্ষেত্রে বেশ রক্ষণশীল। চুল নিয়ে বাকিরা যাই করুক না কেন তাঁদের পছন্দ কালো ঘন লম্বা চুল। তবে আধুনিক যুগের স্ট্রেস ও ক্লান্তি আর পরিবেশ দূষণের মধ্যে চুল কীভাবে ভাল থাকবে তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে আপনার। এ ক্ষেত্রে চুলের কালো রং ও নিজস্ব জেল্লা ধরে রাখা বেশ কঠিন। তবে উপায় যে একেবারে নেই তা ঠিক নয়। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই সব পুষ্টিকর উপাদান রাখলে সহজেই ধরে রাখতে পারবেন চুলের সৌন্দর্য। যেমন-
ক্যালসিয়াম (Calcium)
শুধু হাড়ের জন্যেই নয় হৃদযন্ত্র, মাংসপেশি ও স্নায়ুতন্ত্র এই সব ভাল রাখতে ক্যালসিয়ামের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখানেই শেষ নয়। অনেকেই হয়ত জানেন না চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও ক্যালসিয়াম বেশ কাজের। কালো স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল চাইলে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ক্যালসিয়াম।
কপার (Copper)
শরীরের কপার তামার ঘাটতি হলে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে তামার ঘাটতি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্লাড সেল ও কানেক্টিভ টিসু। এর প্রভাব পড়ে শরীরের কার্যক্ষমতা ও শক্তির ওপর। যা চুলের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই তামার যাতে ঘাটতি না হয় তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম, ডাল, আমন্ড বাদাম কিংবা হোয়াইট মাশরুম রাখতে পারেন
আরও পড়ুন: চুলের পরিচর্যায় গোলাপ ফুলের এত উপকারিতা কী আপনার জানা আছে?
আয়রন (Iron)
শরীরে আয়রনের অভাব ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলে চুলের স্বাস্থ্যের ওপর। চুল পড়ে যাওয়া কিংবা চুল পেকে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে চুল ঝরে পড়ার মাত্রা বেড়ে যায় খুব বেশি। তাই নিয়মিত বিনস, মটরশুঁটি, ডাল, পালংশাক, ব্রোকোলি ও টোফু জাতীয় খাবার বেশি করে খান।
প্রোটিন (কেরাটিন) (Keratin)
হেয়ার স্মুদেনিং ও স্ট্রেটনিংয়ের জন্য অনেকেই কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করান। তবে এই কেরাটিন ট্রিটমেন্টের থেকে প্রাকৃতিক কেরাটিন খানিকটা আলাদা ও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই কেরাটিন হল এক ধরণের প্রোটিন যা চুলের কালো রং বজায় রাখে। তাই নিত্যদিনের খাবারে এই উপাদান বা পুষ্টির ঘাটতি হলে চুলে অকালপক্বতা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে প্রাকৃতিক কেরাটিনে পরিমাণে বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পোল্ট্রি, মাছ, ডিম ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
আরও পড়ুন: মাসের শেষে পকেটে টান? এই শীতে চুল ভাল রাখতে বাড়িতেই করুন হেয়ার স্পা রইল ৩ দারুণ রেসিপি
ভিটামিন (Vitamin)
চুল লম্বা করতে ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত ভিটামিন যোগ হলে রুক্ষ, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের স্বাস্থ্য ফিরে আসতে বাধ্য। শুধু তাই নয় এটা চুলে সহজে পাক ধরতে দেয় না। বিশেষ করে ভিটামিন বি-ফাইভ (B-5), ভিটামিন বি-সিক্স(B-6), ভিটামিন বি-নাইন(B-9), ভিটামিন বি-টুয়েলভ(B-12), ভিটামিন ডি(D)।
জিঙ্ক (Zinc)
জিঙ্ক শরীরের কোষ ও ডিএনএ- রক্ষা করে। তাই এমন খাবার যাতে এই প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রয়েছে তা নিয়মিত খেলে শরীরের হর্মোনাল ভারসাম্য বজায় রাখে। এটা চুলের অকালপক্বতা রোধ করে।