বাড়ছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। এতদিন হা পিত্যেস করে বসে থাকার পর অবশেষে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে শীতকালের হাওয়া। এদিকে শীত বাড়লেই দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। সর্দি কাশি, গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা থেকে শুরু করে গোড়ালি ব্যথা। এক বার এই ব্যথা শুরু হয়ে যাওয়া মানেই হাঁটতে চলতে সমস্যা। যদিও গোড়ালি ব্যথার একাধিক কারণ হতে পারে। তবে শীতকালের ব্যথা হলে এর থেকে রেহাই পেতে রয়েছে একাধিক ঘরোয়া টোটকা। যেমন-
স্ট্রেচিং করতে হবে (stretching helps)
শীতকালে শরীর চনমনে রাখতে অবশ্যই স্ট্রেচিং বা যোগাসন করতে হবে। এর ফলে মাংসপেশি ও হাড়ে রক্ত সঞ্চালন ঠিক ভাবে হয়। আর তা হলে হাত পা ফুলে যাওয়া কিংবা হাতে পায়ের অসাড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাবেন।
সন্ধক লবণ (epsom salt)
বালতিতে বা বাথটাবে গরম জলে সন্ধক লবণ মিশিয়ে তাতে পা চুবিয়ে রাখুন। এটা নিয়মিত ১৫ থেকে ২০ মিনিট করলে গোড়ালির ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।
আদা (ginger)
জলে আদার ছোট ছোট টুকরো কুচিয়ে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার এতে পাতিলেবু ও মধু মেশান। আদায় এমন কিছু উপদান রয়েছে যা গোড়ালির ব্যথা বা ফোলাভাব কম করে।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেন হয় হাঁটু ব্যথা?
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার (apple cider vinegar)
যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাঁদের অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা পাততে পারেন না। গোড়ালির ব্যথায় বিছানা ছাড়তে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাঁদের। এক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে এই অ্যাপেল সাইডর ভিনেগার খেলে ইউরিক অ্যাসিড কম হবে। আবার গরম জলে এই অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে যদি পা সেঁকা যায় তা হলেও গোড়ালির ব্যথার উপশম হয়।
অ্যালোভেরা জেল (aloevera gel)
অল্প আঁচে অ্যালোভেরা জেল গরম করে তাতে হলুদ ও নিশাদল (অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড) মেশান। এবার এই মিশ্রণ ইষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে তাতে তুলো ভিজিয়ে পায়ের গোড়ালিতে লাগান। আরাম পাবেন।
গরম তেল মালিশ (hot oil massage)
সর্ষের তেলে রসুন দিয়ে গরম করে নিন। এবার এই তেল আলতো হাতে গোড়ালিতে ভাল করে মালিশে করে নিন। এতে গোড়ালির অসাড় ভাব কাটবে এবং রক্ত চলাচল ভাল হবে।