শীতকাল এলেই সর্দি কাশি জ্বর সব থেকে আগে কাবু করে বাড়ির খুদেদের। এবছর আবার ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতেও আবহাওয়ার ক্রমাগত ওঠানামা এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এদিকে শীতকালে ফ্লু সহ একাধিক ভাইরাসের ভয় যে খুদেদের সব সময় ঘরবন্দী করে রাখবেন তাও সম্ভব কিংবা উচিত না। এই সময় বরং কীভাবে ওদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায় সেই দিকে নজর দেওয়া উচিত। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় মরশুমি শাক সবজির পাশপাশি তাই নিয়মিত সুপ রাখতে পারেন। এর ফলে খুদেদের সর্দি কাশি দ্রুত সেরে যাবে। আবার শাক সবজি খাওয়াতে অনীহা থাকলে সুপ বানিয়ে সেগুলো দিলে এই সব খাবারে থাকা জরুরি পুষ্টিকর উপাদানও পাবে শরীর।
ব্রোকোলি ও বিন সুপ (broccoli and bean soup)
ব্রোকোলিতে এত রকমের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যে এগুলো শীতের একাধিক ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ছোট কিংবা বড় শীতের সময় অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ব্রোকোলিতে এত পরিমাণে ফাইবার থাকে যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ব্রোকোলি খেলে উপকার পাওয়া যায়। একই ভাবে উপকারী বিনস। এই ব্রোকোলি ও বিন সুপ আরও গাঢ় ও স্বাদ বাড়তে এতে দুধ ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে দিতে পারেন।
মাশরুম সুপ (mushroom soup)
মাশরুমের ছোট ছোট টুকরো জলে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার এতে দুধ ঢেলে কিছুক্ষণ রান্না করে নিন। এরপর এতে পছন্দের হার্বস দিয়ে আরও কিছু ভাল করে ফুটিয়ে গরমাগরম পরিবেশন করুন। মাশরুমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান যেমন ফাইবার, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি ও প্রোটুন রয়েছে। এগুলো শরীরে পুষ্টি ও শক্তি জোগায়। পাশাপাশি মাশরুমের অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে।
কুমড়োর সুপ (pumpkin soup)
কুমড়ো খেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তবে এর উপকারিতা প্রচুর। কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সহ একাধিক ভিটামনি রয়েছে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে। পুষ্টিতে ভরপুর এদিকে ক্যালোরি কম থাকে। এর ফলে যে সব বাচ্চাদের মধ্যে ফাস্ট ফুড জাঙ্ক ফুড খেয়ে স্থুলতার সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এই সব পাম্পকিম সুপ খুবই কাজের। একদিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে অন্যদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর শীতকালে সুস্থ থাকবে শরীর। কুমড়োর সুপ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়।