কুমড়ো খেয়ে কুমড়োর বীজ(pumpkin seeds) ফেলে দেন? এর উপকারিতা()benefits) জানলে এবার আর ফেলে দেবেন না। কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি(powerhouse of nutrients)। তাই ন্যাচারোপ্যাথিতে(naturopathy) শরীরের নানা সমস্যার সমাধান করতে কুমড়োর বীজ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য কুমড়োর বীজ এত কাজের যে আজকাল একে সুপারফুডের তকমাও দেওয়া হয়। বিশেষ, করে যে সব মহিলাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম(polycystic ovary syndrome) রয়েছে তাঁদের জন্য কুমড়োর বীজের জুড়ি মেলা ভার। জেনে নেওয়া যাক পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে(PCOS) এটা কেন এত কার্যকরী-
মহিলাদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের (PCOS)সঙ্গে করে নিয়ে আসে একগুচ্ছ শারীরিক সমস্যা। এই সব সমস্যা দূরে রাখতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায়(daily diet ) বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় কুমড়োর বীজ রাখতে পারেন। কুমড়োর বীজ হর্মোনাল হেলথ ভাল রাখে।
কুমড়োর বীজে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপদান
এতে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেশিয়াম মেনুপজের পরে অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে আনে। পাশাপাশি হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমানের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান চুল পড়া কম করে।
এছাড়া কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রাইটোফ্যান নামে এক ধরনের ন্যাচারাল অ্যামিনো অ্যাসিড। এই উপাদান অনিদ্রার সমস্যা কমে করে। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ কুমড়োর বীজ খেলে ভাল ঘুম হবে।
কীভাবে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখবেন কুমড়োর বীজ
চাইলে কাঁচা খেতে পারেন কিন্তু কোনও গন্ধ লাগলে বা কাঁচা খেতে ভাল না লাগলে রোস্ট করে কিংবা স্যালাড, সুপ, বা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার ওটমিল বা পুডিংয়ে এমনকি মিহি করে পিষে চাটনি ও সসে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে কুমড়ো বীজের পরিমাণ যাতে কোনও মতেই এক চামচের বেশি না হয়।