বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাসের জন্য পুষ্টিকর ও সুষম আহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে দেখা যায় কখন স্কুলে যাওয়ার তাড়াহুড়োয় কখন এই খাবে না সেই খাবে নিয় বায়নায় অধরা থেকে যায় শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো। আর দীর্ঘদিনের এই পুষ্টির ঘাটতি দুর্বল করে দেয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর তখনই শরীরে হানা দেয় নানারকমের জীবাণু। বিশেষ করে এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাচ্চাদের চট করে সর্দি কাশি লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে বাচ্চাদের ইমিউনিটি। তাই আজকে, আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে রইল এমনই তিনটি ডেজার্ট রেসিপি যা খেতে যেমন সুস্বাদু ততটাই স্বাস্থ্যকর। আর ভিটামিন, প্রোটিন থেকে শুরু করে রয়েছে কয়েক রকমের পুষ্টিকর উপাদান। এই শীতে ব্রেকফাস্টে কিংবা স্কুলের টিফিনে স্ন্যকস হিসেবে একদম পার্ফেক্ট ফুড। রইল রেসিপি।
ক্রিসপি পিনাট বাটার বল (Crispy Peanut Butter Ball)
বাচ্চাদের জন্য পিনাট বাটার খুবই উপকারী। এটা যেমন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে তেমনই শিশুর সার্বিক বিকাসের জন্য এটা বেশ কাজের। হার্ট ভাল রাখতে যে সব ফ্যাটস প্রয়োজনীয় সেগুলি রয়েছে পিনাট বাটারে। তা ছাড়া প্রোটিনের অন্যতম ভাল সোর্স এই পিনাট বাটার। এই প্রোটিন শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ করতে, হাড় ও মাংসপেশির শক্তি বাড়িয়ে তুলতে খুবই কার্যকরী। এখানেই শেষ নয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে প্রোটিন যে কতটা কার্যকরী তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি এটা বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার সময়ও খুব উপকারী। আর এই ক্রিসপি পিনাট বাটার বল বানানো খুবই সহজ।
নো বেক ভেগান ডেট ব্রাউনি (No-bake vegan date brownie )
এই ব্রাউনিতে অন্যান্য পুষ্টিকর উপকরণের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে খেজুর। আর খেজুরের মতো সুপারফুড শীতকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ পদার্থ, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পোটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই সব পুষ্টিকর উপাদান শীতকালে ইমিউনিটি বাড়াতে একান্ত প্রয়োজনীয়। আপনি কিংবা আপনার পরিবারের কারও কী গ্লুটেন(gluten) বা ল্যাক্টোস ইনটলারেন্স(lactose intolerance) রয়েছে? তা হলে এই নো বেক ভেগান ডেট ব্রাউনি(no-bake vegan date brownie) রেসিপি দারুন কাজের।
ক্যারট কেক এনার্জি বাইটস(Carrot cake energy bites)
শীতকালে স্বাদ, পুষ্টি ও শক্তির ওয়ান স্টপ সলিউশন হতে পারে এই ক্যারট কেক এনার্জি বাইটস। শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় কম বেশি প্রত্যেকেরই। আর বাচ্চাদের মধ্যে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য খুবই কষ্টকর। এক্ষেত্রে গাজরে যে পরিমাণ ফাইবার আছে তা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি গাজরে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এই বিটা ক্যারোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং বাচ্চাদের সার্বিক বিকাশে সাহায্য করে।