দাঁতন: রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন৷ সোমবার দাঁতনের মুকুন্দপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা৷ অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের কয়েকজনের মাথায় টাঙির কোপ বসানো হয়৷ তাতে গুরুতর জখম হন ১ মহিলা-সহ ৫ জন তৃণমূল কর্মী৷ দ্রুত তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে৷ আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ বাকিদের দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে৷
আরও পড়ুন: সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে
তৃণমূলের অভিযোগ, অতর্কিতেই বিজেপি হামলা চালিয়েছে৷ অপরদিকে, বিজেপির দাবি গ্রাম্য বিবাদকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই রবি রাউত নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মুকুন্দপুর গ্রামের বিজেপি কর্মীরা হুমকি দিচ্ছিল। ওই যুবক টিউশন পড়ায়৷ বাড়ি ফেরার সময় হুমকি দেওয়া হত৷ সোমবার এই বিষয়ে আলোচনা করতে মুকুন্দপুর গ্রামে যান যুবকের পরিবারের সদস্য-সহ ১২-১৫ জন৷ অভিযোগ, সেই সময় কোনও আলোচনা না করেই সকলের উপরই টাঙি ও অন্যান্য ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিজেপির লোকেরা।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা
অনেকে পালিয়ে আসতে পারলেও ৫-৬ জন থেকে যায়। তাঁদের উপর চলে নির্যাতন৷ লাল্টু দাস, বিশ্বজিৎ রাউতের মাথায় টাঙির কোপ বসানো হয়৷ পার্বতী রাউত, প্রেমাকান্ত মান্না, গৌর দাস, মতিলাল মান্নাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। গৌর দাসের হাত পা ভেঙে দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, ‘এটা গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্কই নেই।’ পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ করা হলে তদন্ত শুরু হবে।