শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গেল আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার কোহিনূর চা বাগান। ঘটনায় অনিশ্চিত ৮৮৮ জন শ্রমিকের ভবিষ্যৎ।স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতের পক্ষ থেকে জনৈক চা ব্যবসায়ী কেশব শর্মাকে এই চা বাগান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে নিজের জায়গা ছাড়তেও নারাজ ছিলেন ওমপ্রকাশবাবু। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। রবিবার রাতে ওই চা বাগানের মালিক ওমপ্রকাশ উপাধ্যায়কে পুলিশ আচমকাই গ্রেপ্তার করে। এর পরেই বাগান জুড়ে শুরু হয় শ্রমিকদের চরম বিক্ষোভ। এরই প্রতিবাদে শ্রমিকরা কোহিনুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপির নীলম মন্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
আরও পড়ুন ভারত ঘনিষ্ঠ শের বাহাদুর দেউবা নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী
এই বিষয়ে শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীই পুলিশ লাগিয়ে ইচ্ছাকৃত বাগান মালিককে গ্রেপ্তার করাতে সাহায্য করেছে। বাগান মালিক ওমপ্রকাশ উপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতেই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওমপ্রকাশ উপাধ্যায়কে ছাড়াতে শ’য়ে শ’য়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা শামুকতলা থানা ঘেরাও করে ইট বৃষ্টি শুরু হয় বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। বিক্ষুব্ধ জনতাকে সামাল দিতে শেষমেশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন সাদামাটা ইউরো থেকে প্রাপ্তির ভান্ডার খুবই কম
কোহিনূর চা বাগান
উত্তেজিত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ২৫ জনকে আটক করে পুলিশ। আটক মহিলাদের রাতে ছেড়ে দেওয়া হলেও, থানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চার জন শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাগান মালিক সহ চার জন শ্রমিককে সোমবার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে পাঠায় শামুকতলা থানার পুলিশ।চা বাগানটিতে চলছে পুলিশি নজরদারি। জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে এদিন শামুকতলা থানা পরিদর্শনে এলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন স্বল্প ব্যয়ে সাজান আপনার স্বপ্নপুরী