নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তিতে নূপুর শর্মা৷ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত৷ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া জাতীয় মুখপাত্র নূপুরের আবেদনের শুনানি ছিল৷ গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে এবং সমস্ত এফআইআর একত্রিত করে দিল্লিতে নিয়ে আসার জন্য ফের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট গ্রেফতারি থেকে তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে৷ একই সঙ্গে সমস্ত এফআইআর একত্রিত করারও যে আবেদন নূপুর করেছেন তাতে রাজ্যগুলিকে সাড়া দিয়ে বলেছে আদালত৷ আগামী ১০ অগাস্ট এই মামলার শুনানি হবে৷ ততদিন পর্যন্ত নতুন কোনও এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে করা যাবে না৷ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷
পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অসমে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে মোট ৯টি এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ নিরাপত্তার কারণে সেই এফআইআরগুলি একত্রিত করার আবেদন জানিয়ে এবং আগাম জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু ১ জুলাই তাঁর দু’টি আবেদনই শুধু খারিজ করে দেয়নি বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ৷ পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নূপুর শর্মাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতিরা৷ দেশে সেই সময় যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তার জন্য বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রীকেই একমাত্র দায়ী করে আদালত বলে, দেশবাসীর তাঁর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত৷
এদিন আদালতে নূপুরের আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেন, ‘১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তাঁর মক্কেলের প্রাণসংশয় অনেক বেড়ে গিয়েছে৷ আরও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে৷ যে কারণে আদালতের নির্দেশ মতো নূপুরের পক্ষে হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হয়নি৷’ মনিন্দর জানান, সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশের পর নূপুরের বিরুদ্ধে কলকাতায় আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ এমনকী কলকাতা পুলিস লুক আউট নোটিসও জারি করে৷ যে কারণে নূপুর গ্রেফতারির আশঙ্কা করেন৷ এদিকে তাঁর প্রাণসংশয় বেড়েই চলেছে৷ আজমেঢ় এবং উত্তরপ্রদেশে থেকে নূপুরকে মুণ্ডচ্ছেদ করার হুমকি দেওয়া হয়৷ এই রকম পরিস্থিতিতে কোনও ধরনের নিরাপত্তা তাঁর প্রাণসংশয়ের ঝুঁকি কমাতে পারবে না৷
আইনজীবীর কথা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ উদ্বেগ প্রকাশ করে৷ জানায়, আগের দেওয়া নির্দেশ মেনে আবেদনকারী কীভাবে হাইকোর্টে নিরাপদে যেতে পারেন সেটাই এখন আদালতের কাছে চিন্তার৷ তবে নূপুরের বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷