কলকাতা: কথাগুলো বলতে বলতে দু’হাতে মুখ ঢেকে ফেলেছিলেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। যে রোগ মেয়েটাকে কেড়ে নিয়েছে, তার পথ খুঁজতেই দেহ দানের সিদ্ধান্তও। যাতে আর কোনও বাবা-মায়ের কোল না খালি হয়ে যায়। হাওড়ার শ্রীতমা মণ্ডলের বাবা-মা এভাবেই নিজের মেয়েকে অন্যের মধ্যে দেখতে চান। আর তাই তো তাঁরা দশ বছরের মেয়েটার দেহ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
জটিল রোগ কেড়ে নিয়েছিল দশ বছরের শ্রীতমাকে। মেয়ের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে বিমানেও চড়িয়েছেন তাঁরা। মা মঞ্জুশ্রী বলছেন, চিকিৎসকরা আগেই বলেছিলেন। কেন এই রোগের কোনও ওষুধ নেই তা বুঝতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করেও মেয়েটাকে বাঁচাতে পারিনি। যদি আমার মেয়েকে সামনে রেখে এই রোগের চিকিৎসার কোনও দিশা মেলে তাহলে আমার মেয়েটা সবার মধ্যে বেঁচে থাকবে। এভাবে আর কোনও বাবা-মা’কে কাঁদতে হবে না।
মঞ্জুশ্রীর আশা, আগামিদিনে চিকিৎসকরা নিশ্চয়ই এই রোগের চিকিৎসা বের করবেন। মেয়ে শ্রীতমা ছোট থেকে সাজুগুজু করতে ভালবাসত। সাধ্যমতো মঞ্জুশ্রীরা চেয়েছিলেন মেয়েকে শেষ কয়েকটা দিন খুশিতে রাখতে। তাই তো শেষ পর্যন্ত চেষ্টাও করেছিলেন। আজ মেয়েটা চলে গিয়েছে। তাকে সামনে রেখে জটিল রোগটার চিকিৎসায় যেন দিশা মেলে…
আরও পড়ুন- Howrah: নিথর মেয়ের কানে মোবাইল ধরে বাবা, নিঃশব্দ কথা মায়ের, বিরল রোগে মৃত সন্তানের দেহদান