কলকাতা: উপকূল থেকে মাত্র ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অশনি। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ওড়িশা উপকূলের যাবে অশনি। আন্দামানের কাছে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, তার পরে আরও শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। মৌসম ভবন জানিয়েছে, উপকূলের কাছে পৌঁছনোর আগে শক্তিক্ষয়ও শুরু হবে অশনির।
সোমবার দুপুরের বুলেটিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুরী থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে অশনি। অন্ধ্র উপকূল অর্থাৎ বিশাখাপত্তনম থেকে তার দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার। আন্দামান-নিকোবর থেকে দূরত্ব মাত্র ৫০০ কিলোমিটার। গত ৬ ঘণ্টায় ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর এগিয়েছে ‘অশনি’। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী হলেও মৌসম ভবন জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ওডিশা উপকূলের দিকে মুখ ফেরাবে অশনি।
অশনির প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়ছে। অশনির জেরে ওডিশা ও বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। বুধ ও বৃহস্পতি, এই দু’দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: LPG Price Hike: ‘দুয়ারে ঘুঁটে’, গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তরপাড়ায় অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূলের
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। অশনির জেরে যেন কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার।