মেদিনীপুর: বর্ষা আসতে এখনও কিছুটা দেরি। তবে তার আগেই মেদিনীপুরে মশাবাহিত রোগ নিয়ে চিন্তা শুরু করল রাজ্য প্রশাসন। শহরাঞ্চলে বর্ষার আগেই মশা দমন অভিযানে নামতে বিভিন্ন পৌরসভা গুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসল রাজ্যের আরবান ডেভেলপমেন্ট ও মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট। মেদিনীপুর শহরে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পৌরসভা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হল। মশা দমনে নতুন নির্দেশিকা ও কৌশল শেখানো হলো আধিকারিকদের। প্রশিক্ষণ দেওয়া কাজ কেমন হচ্ছে, সেই নজরদারির স্বার্থে চালু করা হচ্ছে বিশেষ মোবাইল অ্যাপ।
মেদিনীপুর পৌরসভার আয়োজনে তিন জেলার সমস্ত পৌরসভার আধিকারিক, সাফাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, স্প্রে ওয়ার্কার, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল জেলাশাসকের দপ্তরে মাল্টিপারপাস বিল্ডিংয়ে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আধিকারিকরা।
আর্বান ডেভলপমেন্ট বিভাগের সচিব জলি চৌধুরী বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে বর্ষার কয়েক মাস আগেই এই বৈঠক। লক্ষ্য, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া মুক্ত করা। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। এজন্য লাগাতার পরিছন্নতা ও সচেতনতার উদ্যোগ নেবে পৌরসভাগুলি । অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে পদ্ধতিগত মশা দমন কৌশল পাল্টানো হচ্ছে। আগে বর্ষার সময় বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন হতো, এখন এই কাজ করার জন্য বিভিন্ন আধিকারিকদের দায়িত্ব ভাগ করে আগে থেকেই মাঠে নামানো হচ্ছে। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে পরিদর্শন করা হবে মশার পরিস্থিতি নিয়ে। প্রতিটি এলাকার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার এখন থেকেই পৌরসভা গুলি মশার পরিস্থিতি নিয়ে একটি করে রিভিউ বৈঠক করবে। সর্বোপরি পুরো কাজ কলকাতা থেকেও পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখতে বিশেষ অ্যাপ চালু করা হচ্ছে মশা দমনে। প্রতিটি এলাকার পরিস্থিতি নজর রাখা যাবে সব জায়গা থেকে।”
আরও পড়ুন: Malda News: মালদহে চার দিন ধরে নিখোঁজ নাবালিকা ছাত্রী, পাচারের আশঙ্কা পরিবারের