শশার প্রায় ৯৬ শতাংশই জল। গরমে তাই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূরে রাখতে শশার জবাব নেই। শরীরের জলের ঘাটতি মিটিয়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখে শশা। তবে এখানেই শেষ নয় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার দেয় শশা। কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর করে। এখানেই শেষ নয় শশায় এমন সব উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোল। তবে এটা কি জানেন শশা যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমন আবার নিত্য জীবনেযাপনে শশার খোসাও খুবই কার্যকরী। তাই এবার থেকে শশার খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দেবেন না। বরং এই সব কাজে ব্যবহার করুন। যেমন-
ত্বকের জন্য উপকারী
শশা যেমন শরীরকে ভেতর থেকে ভাল রাখে তেমন শশার খোসা ত্বকের পরিচর্যায় খুবই উপকারী। শশার খোসা দিয়ে নিয়মিত রূপচর্চা করলে ডার্ক সার্কেল, ওপেন পোর বা রোমকূপের মুখ বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা, দাগ ছোপ সারাতে কাজে আসে। শশার খোসায় কিছুটা ব্লিচিংয়ের কার্যকারিতা রয়েছে। এর ফলে ট্যান সরানোর কাজ সহজ হয়ে যায়। এর জন্য শশার খোসা ভাল করে বেটে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন।
অ্যান্ট রিপেলেন্ট
পিপড়ে তাড়াতে খুবই কার্যকর শশার খোসা। এর খোসায় যে অ্যালক্যালাইড রয়েছে তা ন্যাচারাল রিপেলেন্ট হিসেবে কাজ করে। শশার খোসার গন্ধ সহ্য করতে পারে না পিপড়ে। তাই বাড়ির যে সব জায়গায় পিপড়ে উত্পাত রয়েছে সেই সব জায়গায় শশার খোসা টুকড়ো করে কেটে রাখুন। বিশেষ করে খাবারের জায়গায় যেখানে অল্পেই পিপড়ে ধরে। সেখানে শশার খোসা ছড়িয়ে রাখলে পিপড়ে হবে না।
গাছের জন্য সার
শশার খোসায় ফসফরাস ও পোটেশিয়াম থাকে। এই দুই উপাদান গাছের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভীষণ উপকারী। কীভাবে শশার খোসা দিয়ে বাড়িতেই সার তৈরি করবেন দেখে নিন
প্রথমে শশার খোসা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন।
শুকিয়ে গিয়ে এই খোসায় আর্দ্রতার অভাব ঘটলে এদের একটি স্টেনলেস স্টিলের পাত্রে রেখে দিন।
এরপর এই খোসার টুকরোগুলো জ্বালিয়ে ছাই জড়ো করে নিন। এই ছাই গাছের টবের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিন।