শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা রাখতে ওয়ার্কআউট(workout) করেন ঠিকই কিন্তু দিনের শেষে শারীরিক কসরতের ফলে ঘেমে নেয়ে এক! শরীরে স্ফুর্তি এলেও কসরতের ফলে মাংশপেশিতে(muscles) যে টান পরে তা বেশ ভোগায়। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে খেতে পারেন অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার(antioxidant rich foods) । এদিকে এত খাটাখাটনির পর যা কিছু একটা খেলেই এত পরিশ্রম যে একেবারে মাটি হয়ে যাবে। তাই এম্পটি ক্যালোরি(empty calorie) খাবারের বদলে বরং খেতে পারেন নানারকমে বেরি। স্ট্রেবেরি সহ অন্যান্য বেরিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।
তবে শুধু কোনও একটা কারন নয়, আর কী কী কারনে ওয়ার্কআউটের পর বেরি(berry) খাবেন তা জেনে নিন-
স্ট্রবেরি(strawberry), ব্লুবেরি(blueberry) সহ অন্যান্য বেরিতে(berries) প্রচুর পরিমানে প্ল্যান্ট বেস্ড(plant based) অ্যান্টি অক্সিজডেন্ট(antioxidant) পলিফেনলসে(polyphenols) পাওয়া যায়। এই গুলো মানব দেহে যে কোষগুলি আছে তার রক্ষা করে।
ওয়ার্কআউটের(workout) পরে মাংশপেশি তে টান পড়ে ব্যথা(strain in muscles) বা ফুলে গেলে (swelling) বেরিতে থাকা এই পলিফেনলস এই সব সমস্যার উপশমে সাহায্য করে।
বেরির একেবারে বাইরের স্তরে অ্যানথোসায়ানিন(anthocyanins) নামক এক ধরনের ফ্লেভোনয়েড থাকে, এই ফ্লেভোনয়েডের(flavonoids) কারনেই নানা রকমের বেরির এরকম রঙ বলে জানা গেছে। এই অ্যানথোসায়ানিন(anthocyanins) রক্ত সঞ্চালন(blood circulations) আরও ভাল করে যেটা যে কোনও হেভি ওয়ার্কআউটের পর ভীষণ প্রয়োজনীয়।
স্ট্রবেরি(strawberry), রাস্পবেরি(raspberry) কিংবা ব্লুবেরি(blueberry)। এই সব ধরনের বেরিতে রয়েছে কম্প্লেক্স কার্বোহাইড্রেটস(complex carbohydrates)। তাই যে কোনও ইনটেনস ওয়ার্কআউটের(intense workout) পরে এই বেরি খেলে ক্লান্ত শরীরে শক্তির সঞ্চার হবে সহজেই।
চাইলে শুধু মুখে কিংবা এই নানা রকমের বেরির স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। প্রোটিন শেকের(protein shake) সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেভাবেই খান নিত্য দিনের খাদ্যতালিকায় এই বেরি রাখলে উপকার পাবেন।
(ছবি সৌ :Unsplash)