কলকাতা: চার পুরনিগমের ভোট চলাকালীন শনিবার নতুন বিতর্ক শুরু করলেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্য বিধানসভার আগামী অধিবেশন স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করলেন রাজ্যপাল। টুইটে জানালেন, সংবিধানের ১৭৪ ধারা অনুযায়ী তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে ঘোষণা রাজ্যপালের। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেনি।
শুক্রবারই তৃণমূল রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাজ্যসভায় স্বতন্ত্র প্রস্তাব এনেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করছেন। শুধু তাই নয়। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিষোদগার করছেন। এই কারণে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণ করার দাবি করেছে তৃণমূল। রাজ্যসভায় গিয়ে এধরনের প্রস্তাব আনা হবে, তা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে সাংসদদের লোকসভা এবং বিধানসভায় লাগাতার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দুই কক্ষে প্রস্তাব আনারও নির্দেশ দেন নেত্রী। সেই নির্দেশমতো শুক্রবার রাজ্যসভায় দলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে স্বতন্ত্র প্রস্তাব এনেছেন।
বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত এবার নতুন দিকে মোড় নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করছে। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের কোনও রাজ্যপাল এরকম কাণ্ড করেছেন বলে মনে করতে পারছি না।’
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1492390605301121027?s=20&t=cUu9emxgNz3fSBnM8Utf9Q
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী ধনখড়কে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক পর্যন্ত করে দিয়েছেন। দিন কয়েক আগে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা নিজেই তা জানিয়ে বলেন, ‘রাজ্যপাল যখন তখন আমাকে এবং অফিসারদের আক্রমণ করে টুইট করেন। বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম তাই টুইটে ব্লক করতে বাধ্য হলাম।’