যে পারফরমেন্সের জন্য জাতীয় দলের থেকে বাদ গিয়েছেন, তিনিই আবার আইপিএলে কোটি টাকার মূল্যবান ক্রিকেটার! হচ্ছে তো তাই। জাতীয় দলের বাইরে হার্দিক পান্ডিয়া। আই পি এক মেগা নিলামের আগেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও রিলিজ করে দিল হার্দিক পান্ডিয়াকে । আর তাতেই লাভই হয়েছে এই অলরাউন্ডারের। আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক হতে চলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর চুক্তিও বিশাল পরিমাণে বাড়ছে ।
আহমেদাবাদ দলের যেহেতু ‘ফার্স্ট চয়েস রিটেনশন’ হচ্ছেন তিনি, সেই কারণে হার্দিক পান্ডিয়ার বেতন হতে চলেছে ১৫ কোটি টাকা। গতবারও মুম্বইয়ে পেয়েছেন ১১ কোটি টাকা । ক্যাপ্টেন হতেই আহমেদাবাদে চুক্তি মূল্য কয়েক কোটি টাকা বেশি হচ্ছে তাঁর। নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির সূত্রে জানা যাচ্ছে এই তথ্য।
২০১৮ সালে ক্রিকেটার কেনা বেচায় মুম্বই ৩ জন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল। তাঁদের একজন ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। চুক্তি মূল্য ছিল-১১ কোটি টাকা। তারও আগে ২০১৫ সালে হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র ১৫ লক্ষ টাকায় যোগ দিয়েছিলেন নেতা রোহিত শর্মার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। সেই হিসাব খেয়াল রাখলে, দেখা যাচ্ছে – মাত্র তিন বছরের মধ্যেই হার্দিকের চুক্তি মূল্য বেড়েছিল ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। সেই সময় তিনি জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটারও ছিলেন। আর যখন জাতীয় দলের বাইরে , তখন কেরিয়ারের সেরা চুক্তি হতে চলেছে! এতে একটা ব্যাপার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে – জাতীয় দলে না থাকলেও আইপিএলে কোটি কোটি টাকার দামী ক্রিকেটার হয়ে ওঠা যায়।
Let's cheer for #HardikPandya to being come with new responsibility & hope he will definitely play well and come back for team india as well.@hardikpandya7 https://t.co/wpDk6udETG
— Rohit.Kumar (@imrohitr18) January 21, 2022
আফগানিস্তানের স্টার স্পিনার রশিদ খান আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘দ্বিতীয় রিটেনশন’ হতে চলেছেন। যা জানা যাচ্ছে, রশিদ খানের চুক্তি মূল্য হতে চলেছে ১৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ‘আরটিএম কার্ড’ ব্যবহার করে রশিদ খানকে দলে রেখেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। খরচ করেছিল -৯ কোটি টাকা। সেই হায়দরাবাদ এবার নিলামের আগে রিলিজ করে দিয়েছে রশিদ খানকে।
এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, কেকেআরের ছেড়ে দেওয়া ওপেনের শুভমান গিল আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় রিটেনশন ক্রিকেটার হতে চলেছেন। তাই তাঁরও চুক্তি মূল্য বেড়ে গেছে – ৭ কোটি টাকায়। ২০১৮ সালে কেকেআরে যোগ দেওয়ার পরে টানা চার বছর খেলেছেন পাঞ্জাবের এই তরুণ দাপুটে ব্যাটসম্যান।
এদিকে, লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছেন বাংলার ইতিহাসে ক্রীড়া প্রেমী শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। সেই দলের নেতা হচ্ছেন জাতীয় দলের সীমিত ওভার ক্রিকেটের সহ অধিনায়ক কেএল রাহুল। তাঁর সঙ্গেই লখনউ দলে যোগ দিচ্ছেন মার্কাস স্টোয়িনিস এবং রবি বিশ্নোই। এর আগে কেএল রাহুল দুটি বছর (২০২০, ২০২১) পঞ্জাব কিংস দলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সাফল্য পাননি।
আসলে আইপিএলে যা যা ঘটে যুক্তিতে তার ব্যাখ্যা নেই।
ছবি: সৌ টুইটার।