কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধস নেমে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ জন। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) জানিয়েছে, রবিবার ধসের কারণে আরও ৩৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রায়গড় জেলা। এ ছাড়াও সাতারা জেলাও বন্যার কবলে পড়েছে। এই দুই জেলা মিলে বন্যায় রবিবার সকালেও ৩৪ জন নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার রাতে তা বেড়ে গিয়েছে। এখনও মোট ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।মহারাষ্ট্রের পশ্চিমাংশ এবং কোঙ্কন অঞ্চল থেকে প্রায় ২,২৯,০৭৪ জনকে বিপদ মুক্ত জায়গায় পাঠানো হয়েছে।
সরকারি তরফে জানা গিয়েছে চিপ্লুন শহরে ৫ টি ত্রাণ শিবির গঠন করা হয়েছে। NDRF এর ২৫ টি, SDRF এর ৪ টি দল এবং তার সাথে আর্মি, নেভী ও কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন দল উদ্ধারকাজে সামিল হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে রায়গড় এবং রতনাগিরি জেলার জন্য ২ কোটি টাকা করে এবং পুনে, সাতারা, সংলি প্রতিটি জেলার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় gsm (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন) প্রযুক্তির সাহায্যে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস পেয়ে বহু সংখ্যক মানুষ কে আগে থেকেই নিরাপদ জায়গায় সরানো সম্ভব হয়েছিল।
২০১৯ সালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে প্রশাসনের তরফে প্রায় ৫৭ টি জায়গায় এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। ফলে, এর মাধ্যমে এলাকার মানুষ আগে থেকেই ভারী দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে যান এবং সেইমত পদক্ষেপ নিতে পারেন। এছাড়াও প্রশাসনের কাছেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়।