আমাদের দেশে এখনও এরকম অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ঋতুস্রাব নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করছেন। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ঋতুস্রাব নিয়ে নানা রকমের বিভ্রান্তি রয়েছে। ঘুম পাওয়া বা খিদের পাওয়ার মতো একটি স্বাভাবিক কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়া। আর এই বিভ্রান্তিকর ধারণা থেকেই মহিলাদের নানান শারীরিক জটিলতা ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই ঋতুস্রাব ও স্যানিটারি প্যাড নিয়ে ঘরের চার দেওয়ালের ভিতরে নয় বরং জনসমক্ষে আলোচনার প্রয়োজন। ঋতুস্রাব চলাকালীন কোনটা উচিত আর কোনটা উচিত নয় এই নিয়েও রয়েছে বেশ কিছু ভুল ধারণা। এই ধারণাগুলি ঠিক কতটা যুক্তিসঙ্গত জেনে নিন।
টক খাবার যেমন তেঁতুল, আচার এমনকি টক দইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারও এড়িযে যান অনেকে। কারণ এর ফলে বেশি রক্তক্ষরণ বা পিরিয়ডস ক্রাম্প হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা। এই ধারণা একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। কোন খাবারটা খেলে ব্যথা কমবে সেটা অনেকটাই আমাদের শরীরের উপর নির্ভরশীল।
এই ধারণা একেবারেই ভুল। বরং আপনি নিয়মিত যেই ব্যায়াম বা যোগা করেন তা করলে উল্টে আপনার উপকার হবে। ব্যায়ামের কারণে আপনার শরীরে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকবে। এর ফলে ব্যথা কিছুটা কমবে। ব্যায়াম করলে সেরোটোনিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন মনমেজাজ ভাল রাখতে খুবই প্রয়োজনীয়। মন ভাল হলে আপনি সক্রিয় থাকবেন।
এই ধারণাটিই একদম ভুল। কিছু ক্ষেত্রে, সহবাসের সময় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা না নিলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা উল্টে কয়েকগুণ বেড়ে যায়, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সঙ্গমের পরেও শুক্রাণু শরীরে থেকে যায়। তাই গর্ভধারণের সম্ভাবনাও থেকেই যায়।
আমাদের প্রত্যেকের শরীর একে অপরের থেকে আলাদা। তাই ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রেও প্রত্যেক মহিলার মধ্যে বৈচিত্র্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই পিরিয়ডস শুধুমাত্র পাঁচ দিন থাকবে তার বেশি নয়, এই ধারণাটাও একেবারে ভুল। পিরিয়ডস পাঁচ দিনের বেশি হলেও সেটা স্বাভাবিক। ক্ষেত্র বিশেষে দেখা গেছে পিরিয়ডস এক সপ্তাহেরও বেশি থাকে।