কলকাতা: বাঘ বন্য কিন্তু মানুষখেকো নয়। বাঘ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাবে এই ধরনের ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে সাধারণ মানুষের বাঘ নিয়ে সচেতনতায় জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। উন্নয়নের হাত ধরে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে নগরায়ন। জল, জমি আর জঙ্গলের অধিকার রয়েছে পশুদেরও। সেই অধিকারে ভাগ বসাতে চাইলেই বাড়ছে আক্রোশ। নিজেদের পছন্দের ডেরায় বহিরাগতের অনুপ্রবেশ নিয়ে দানা বাঁধছে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভের শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসী কখনও মৎস্যজীবীরা।
সুন্দরবনের কোর এলাকায় অনুমতি ছাড়াই মাছ, কাঁকড়া, মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের খাদ্য হয়ে উঠছেন মৎস্যজীবীরা। এ বিষয়ে আরও সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। বাঘেদের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, চলাফেরা সবকিছু নিয়েই চলছে বিস্তর গবেষণা। জঙ্গলে প্রত্যেকটি বাঘের তাঁর নিজস্ব এলাকা রয়েছে। সেই নির্দিষ্ট চৌহদ্দিতে বাঘ চট করে নিজের অনুমতি ছাড়া কাউকে আসতে দেয় না। উপস্থিতি জানান দিতে বাঘের বিশেষ ধরনের ফেরোমন বা গন্ধ সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Durgapur | পুনর্বাসন না দিলে সেইলে উচ্ছেদ হবে না, হুঁশিয়ারি আলুওয়ালিয়ার
শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্যই শিকার করা। এই লজিকেই বাঘ সব সময় চলে। পেট ভরা থাকলে তাই পছন্দের খাবার সামনে দিয়ে চলে গেলেও ভ্রুক্ষেপ থাকে না। অকারণে তাই বাঘ সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে বিভিন্ন স্কুল পড়ুয়াদের সচেতন করে তোলা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকলে তবেই বাঘের চলাফেরার পরিসর বাড়ানো সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।