ওয়েবডেস্ক: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর সিপিএমের প্রথম ব্রিগেড। সিপিএম (CPM) ডাকেনি অবশ্য। সংগঠন খেত মজুর, কৃষক, শ্রমিক, বস্তি উন্নয়ন সমিতির ডাকে রবিবারের ব্রিগেড (Brigade)। একসময় খেত মজুর, শ্রমিকরাই ছিল সিপিএমের জনভিত্তি। সিপিএমের হালে এখন পানি নেই। রাজ্যে একজন বিধায়কও নেই। এগিয়ে আসছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। এই ব্রিগেড থেকেই কী তবে সিপিএমে কার্যত ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বে? ব্রিগেড ভরলেও ইভিএমে কাস্তে হাতুড়িতে ছাপ পড়ে না। গত বছর জানুয়ারিতেই সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ডাকে ব্রিগেডে বামেদের সাড়া মিলেছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। সিপিএম কি তবে কৌশল বদল করবে? কী বার্তা দেবে ব্রিগেড? দুপুরেই ব্রিগেডে জনসমাগম দেখে উচ্ছ্বসিত প্রবীণ নেতা বিমান বসু (Biman Basu) । তিনি বললেন, এই ব্রিগেড লড়াইয়ের শপথ নেওয়ার। তিনি একযোগে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন।
বেকারদের কাজ নেই। শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি শোষণ বেড়ে চলেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছে। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। মেহনতী মানুষের কথা বলার জন্য এদিন ব্রিগেড সমাবেশ সিপিএমের। সমাবেশে প্রধান বক্তা মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুন: বামেদের ব্রিগেডে নেই মীনাক্ষীর নাম, কেন?
এদিন সকাল থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহে ভিড় বাড়তে শুরু করে। শনিবারই অনেকে কলকাতা চলে এসেছেন। রবিবার হওয়ায় ব্রিগেডমুখী মিছিল ছাড়া কলকাতার রাস্তা ফাঁকাই ছিল। খুব একটা রোদের তেজ ছিল না এদিন। সকাল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে ব্রিগেডে। লালাঝাণ্ডা নিয়ে দলে দলে আসতে থাকেন সিপিএম কর্মীরা। ১৯৭৭ সালে সিপিএম এই রাজ্যের ক্ষমতায় শপথ নিয়েছিল। তার পর ৩৪ বছর কেটে গিয়েছে। এখন ক্ষয়িষ্ণু সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে কী শপথ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে আমজনতা।
দেখুন অন্য খবর: