ওয়েবডেস্ক: এই রাজ্যে বিজেপির (BJP) উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উত্তরবঙ্গের (North Bengal)। দার্জিলিঙ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, এমনকী মালদহেও বিজেপি লোকসভায় প্রতিনিধি পেয়েছে। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলাকে (West Bnegal) টার্গেট করেছেন। উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলা ভাগের ধুয়োও তোলা হয়েছে। কখনও দার্জিলিঙ। কখনও গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনকে উস্কানি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে সাফল্য পায় বিজেপি। উত্তরবঙ্গে বিজেপির অন্যতম মুখ ছিলেন জন বার্লা। চা বাগানগুলির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বার্লা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন। এখন তিনি তৃণমূলে। এই রাজ্যে বিজেপির সবচেয়ে সফল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ ডাক পাননি আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায়। রবিবার অমিত শাহের কলকাতার সভাতেও তিনি নেই। দূরত্ব বাড়ছে। এখন প্রশ্ন উত্তরবঙ্গ সামলাতে পারবে বিজেপি?
দিলীপ ঘোষের আমলেই উত্তরবঙ্গে সাতটি সহ রাজ্যে মোট ১৮টি লোকসভা আসন পায় বিজেপি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙ, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদহ উত্তর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির হাল আরও খারাপ হয়। মোট ১২টি আসন জেতে। তবে কোচবিহার হারালেও উত্তরবঙ্গে বাকি ছয়টি আসন ধরে রাখে বিজেপি। সেই উত্তরবঙ্গ কি এবার ধরে রাখতে পারবে বিজেপি? আগামী বিধানসভা ভোটে? এটাই এখন ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন। কারণ ক্রমশ উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপির বেহাল সাংগঠনিক দশা সামনে এসেছে। ইতমিধ্যে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজকে নিয়ে বিজেপি অস্বস্তিতে। এই গ্রেটার নেতা বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
আরও পড়ুন: ২৬-এর ভোটের দামামা বাজিয়েছেন মোদি, এবার কি বিজেপির টার্গেট সেট করবেন শাহ?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অপারেশন সিন্দুরের পর সভা করার জন্য উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ারকে বেছে নিয়েছিলেন। সেখান থেকে কর্মীদের আগামী বছর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে এখন থেকে কোমর বেঁধে নামতে নির্দেশ দেন তিনি। এখন প্রশ্ন, সংগঠনের টালমাটাল পরিস্থিতিতে কাজ হবে মোদির ভোকাল টনিকে?
দেখুন অন্য খবর: