ওয়েবডেস্ক- পুরীর (Puri) মতো রীতি মেনে পরম শ্রদ্ধায় দিঘায় (Digha) জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রার (Lord Jagannath Snana Yatra) উৎসব পালিত হচ্ছে। ১০৮ তীর্থের জল দিয়ে স্নান করানো হবে জগন্নাথদেবকে। অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী, শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবী একে একে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বাহিরে আসবেন। মন্দিরের দক্ষিণ পাশে এক বিশেষ স্নান বেদি নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে দেবতাদের মহা স্নান সম্পন্ন হবে।
আজকের স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ভগবান থাকবেন ‘অনশক্তি’-তে। অর্থাৎ, এই সময়ে দর্শন বন্ধ থাকবে মন্দিরে। কারণ আগামীকাল থেকে, স্নান যাত্রার পরবর্তী জ্বরের কারণে, দেবতারা বিশ্রামে থাকবেন এবং দর্শনের জন্য উপলব্ধ থাকবেন না। তবে মন্দির খোলা থাকবে, এবং শ্রীশ্রী রাধা মদনমোহন জী দর্শন দেবেন। ২৬ জুন হবে রথযাত্রা, তার রথযাত্রার একদিন আগে পুনরায় দর্শন দেবেন।
আরও পড়ুন- ৫৬ ভোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কী কী পাঠান হল? দেখুন ভিডিও
গত ৩০ এপ্রিল মহাসমারোহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে, মানুষের ইচ্ছে হয় জগন্নাথ দেবকে দর্শন করার। কিন্তু সেটি ও অন্য রাজ্যে হওয়ায় সব সময় সেটি সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বাংলাতেই তিনি জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে তাঁর বাগানের আম, কাঁঠাল, মিষ্টি সমস্ত কিছু জগন্নাথ দেবের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথ ধামের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম কলকাতা ইস্কনের সহ সভাপতি রাধারামন দাস জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ির গাছের আম ও কাঁঠাল পাঠিয়েছেন জগন্নাথ দেবের জন্য। আজ দুপুরে ৫৬ ভোগ দেওয়ার সময়ে সেগুলি নিবেদন করা হবে। রাধারামন দাস আরও বলেন, আজ সকাল থেকে দিঘায় বৃষ্টি হচ্ছে। স্বয়ং ইন্দ্রদেবও জগন্নাথ দেবকে স্নান করাতে চাইছেন। নিয়ম নেন জগন্নাথ দেবের মহা স্নান যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২৬ জুন হবে নবযৌবন ও নেত্র উৎসব পালিত হবে। এর ২৭ জুন আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হবে রথযাত্রা। মাসির বাড়িতে যাবে রথের নিম কাঠের (দারু ব্রহ্মের) মূর্তি, আর মূল মন্দিরেই থাকবে পাথরের বিগ্রহ।
গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতির নেতৃত্বে শুরু হয় বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর্ব। ছিলেন ইসকনের রাধারমণ দাস এবং আরও ৫৭ জন সেবক ও ১৭ জন সন্ন্যাসী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন, রাজ্যের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে মন্দিরের প্রসাদ ও ছবি সেই মতো জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। জেলায় জেলায় পৌঁছতে শুরু করেছে দিঘার জগন্নাথদেবের সামনে নিবেদন করা খোয়াক্ষীর। ১৫ জুনের মধ্যে সেই খোয়াক্ষীর দিয়ে মিষ্টি তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর পর দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে সেই প্রসাদ সকলের কাছে পৌঁছে যাবে।
দেখুন আরও খবর-