কলকাতা: প্রত্যেকদিনের মতোই শুক্রবার সকালেও নিউটাউনের ইকোপার্কে (Eco Park) প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। যে পদে দিলীপ থাকাকালীন লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৮টা আসন পেয়েছিল পদ্মশিবির।
বিজেপিতে (BJP) কি ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন, এবার কি তৃণমূলে চলে যাবেন তিনি? এ প্রশ্নের উত্তরে, দিলীপ বলেন, “আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত পার্টি ঠিক করবে। ভগবানের খাতায় লেখা আছে। আমাকে বিজেপি নিয়ে এসে একটা জায়গা দিয়েছিল। আমি নিজে থেকে আসিনি। পার্টি চেয়েছে তাই আমি এসেছি। পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে। আমি নিজে থেকে কিছু চাইনি। পার্টি আমাকে গাড়ি দিয়েছে, সিকিউরিটি দিয়েছে। আমি নিজে এগুলোর কোনওটাই চাইনি। পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব। আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাই না।”
আরও পড়ুন: বিজেপি-র নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক, কী বললেন সুকান্ত-শুভেন্দু
এই উত্তরের পরেও বিজেপি নেতার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোনও চমক দেখা যাবে। স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে তিনি বলেন, “কল্পনা করতে তো পয়সা লাগে না। অনেকেই করছে। ২১ তারিখ পর্যন্ত কল্পনার ডেট দেওয়া হয়েছে। তারিখ পে তারিখ। কিছু একটা মার্কেটে থাকে। দিলীপ ঘোষ মার্কেটে আছে।”
তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে তিক্ততা কিংবা ‘বন্ধুতা’ নিয়ে দিলীপ বলেন, “আমার সঙ্গে কুণাল, অরূপের অনেক আগে থেকে পরিচয়। এখনও আছে। আগামী দিনেও থাকবে। দিলীপ ঘোষ ওরকমভাবে ভাবে না। কাল শত্রু ছিল আজ বন্ধু হল আবার পরেরদিন শত্রু হল, দিলীপ ঘোষ ওইভাবে ভাবে না। যারা ওরকম করে তাদের সমস্যা আছে। দিলীপ ঘোষের এরকম কোনও সমস্যা নেই।”
বিজেপি নেতা আরও বলেন, “আমি জগন্নাথ মন্দির গিয়ে কারও প্রতিনিধিত্ব করিনি। আমাকে মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন। আমি একজন সম্মানীয় নাগরিক, সেই হিসেবে গেছি। সরকারি প্রকল্প। কিন্তু আমি মনে করি ওই মন্দির তৈরিতে আমার ট্যাক্সের টাকা আছে। এটা কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বহু লোক আমাকে ডাকে।”
দেখুন অন্য খবর: