ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্প নিয়ে সচেতন হন। শুরু করেন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বাংলায় বিপুল বিনিয়োগও হয় প্রত্যেক বছর। আর এবার ২১ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ তারিখ শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তার পরদিন গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই নতুন দুই কর্মসংস্থানের জায়গা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ছেলেরাও ফুটবলার হবে? ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কী বললেন মেসি?
তিনি বলেন, ‘ আমরা খুশি যে অনেক সময়ে শুনতে হয় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যা বলা হয় তা কাজ হয়না নাকি। বাংলার সৌভাগ্য এখন শিল্পপতিদের বাংলায় ইন্ডাস্ট্রিয়ালদের জায়গা হয়েছে। আগামী ২১ তারিখ দুপুর ২ টো তে জিন্দাল দের পাওয়ার প্লান্ট উদ্বোধন করছি। এখন পাওয়ার এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। গত ১১ বছরে পাওয়ার এর গ্রুথ বেড়েছে ১১ পার্সেন্ট। দেউচা – পাচামি কোল প্লান্ট হয়ে গেলে ১০০ বছরের সমস্যা থাকবে না। তখন দাম ও কমে যাবে। এখন টো একতরফা হয়ে যাচ্ছে। যত পাওয়ার প্লান্ট হবে ততো দাম সামঞ্জস্য হবে। ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটো পাওয়ার প্লানট হবে। যেখানে জিন্দাল রা ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। আমরা ওদের লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে দিয়েছি। পূর্ব ভারতে এই ধরণের প্লান্ট নেই। এটা একটা বড়ো সুখবর।’
তিনি আরও বলেন, ‘২২ এপ্রিল মেদিনীপুর টাউন থেকে ২৫টি ফায়ার ব্রিগেডের উদ্বোধন করবো। তার মধ্যে ১৫টি দিঘায় চলে যাবে। কাটোয়াতেও ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করা হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর উদ্বোধন ওই কেন্দ্রে গিয়ে করবো। দেউচা – পাচামির উদ্বোধন করা বাকি আছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ চলুক, পরে উদ্বোধন করবো। দেউচা – পাচামির জন্য যারা জমি দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আগামী দিনে যে গ্রামগুলো জমি দেবে তাদের আমরা চাকরি ও দেব, ক্ষতিপূরণ দেব। সময়মাফিক আমরা বলে দেব আমরা কি করছি।’।
দেখুন অন্য খবর