বীরভূম: সোমবারের পর মঙ্গলবারও নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল সাংসদ শতাব্দী রায়কে (TMC MP Satabdi Roy)। এদিন দুবরাজপুর ব্লকের (Dubrajpur Block) চিনপাই গ্রামে দলীয় প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ। শতাব্দীকে দেখেই গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে নিজেদের অভিযোগের কথা তুলে ধরে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়া নিয়ে নালিশ গ্রামবাসীদের। তাদের দাবি, বারবার আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান শতাব্দী। এর আগে বীরভূমে নিজের কেন্দ্রে সিউড়ি ও খয়রাশোলেও ক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী।
বেশ কয়েক মাস ধরে কেষ্টহীন বীরভূম। আর কিছুদিন পরই রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট, কিন্তু এবারের ভোটে দেখা যাবে না চেনা ছবি। অনুব্রতকে ছাড়াই এবারের পঞ্চাযেত ভোট হতে চলেছে। অনুব্রতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর দল এত কাজ করেছে যে উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রাস্তার ধারে। ভোটাররা যখন ভোট দিতে যাবেন, সেই উন্নয়নকে রাস্তার ধারে দেখতে পাবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।সেই বীরভূমে নিজের কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী রায়। ভোটের প্রচারে গিয়ে শুনতে হল গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। এদিন দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাইয়ে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে। চিনপাইয়ে ঢুকতেই শতাব্দীর দিকে এগিয়ে এসে অভিযোগ জানান স্থানীয় কয়েকজন মহিলা। জলের অভাব, বার্ধক্য ভাতা, রাস্তার সমস্যা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ শতাব্দীকে জানান।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Central Force | ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী আসছে, কমিশনকে চিঠি কেন্দ্রের
পঞ্চায়েতের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তৃণমূলের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই চলে গেছে নানুরের ১১ টি ও বোলপুর ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত । একইভাবে লাভপুরের ৯ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। ভোটের আগেই জোরকদমে প্রচারে নেমেছে শাসক-বিরোধীরা। গত কয়েকদিনে জনসংযোগ হোক বা ভোট প্রচারে গিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গত শনিবার থেকে জেলায় পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করেছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি সিউড়ি ২ ব্লকে দিনভর প্রচার করেন। খয়রাশোল ব্লক এলাকায় প্রচার কর্মসূচিতে গ্রামবাসীরা সাংসদকে ঘিরে ধরে কিছু অভিযোগ জানান।