কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) বিধানসভার অধিবেশন সমাপ্তির সিদ্ধান্তকে ‘অধিকার বহির্ভূত’ বলে সমালোচনা করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (Tamil Nadu CM MK Stalin)৷ রবিবার টুইটে তার জবাব দিলেন জগদীপ ধনখড়৷ সেই টুইটে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ট্যাগ করেন। যার অর্থ মমতা টুইটারে রাজ্যপালকে আনব্লক করে দিয়েছেন৷ যদিও তিনি আর জগদীপ ধনখড়কে ফলো করেন না৷
শনিবার পুরভোটের দিন বেনজিরভাবে বিধানসভা অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন রাজ্যপাল৷ টুইটার হ্যান্ডেলে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেন৷ অর্থাৎ বিধানসভাকে না ভেঙেই তিনি স্থগিত করেন৷ এ নিয়ে শোরগোল পরে যেতেই কুণাল ঘোষ জানান, মন্ত্রিসভার সুপারিশ মেনেই রাজ্যপাল অধিবেশন স্থগিত করেছেন৷ তিনি স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত নেননি৷ মন্ত্রিসভার ঠিক করে দেওয়া দিনক্ষণ অনুযায়ী পরবর্তী অধিবেশন ডাকবেন রাজ্যপাল৷ তবে খোঁচা মেরে বলেন, মুদ্রাদোষ অনুযায়ী রাজ্যপাল সব কিছুই টুইট করে ফেলেন৷
জগদীপ ধনখড়ের এই সিদ্ধান্তকে নিয়ম বিরুদ্ধ বলে সমালোচনা করেছিলেন এম কে স্ট্যালিন৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল উচ্চপদে বসে অধিকার বর্হিভূতভাবে এই কাজ করেছেন৷ যার জবাবে রবিবার জগদীপ ধনখড় লেখেন, ‘তামিলানাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷ অনুরোধের ভিত্তিতে বিধানসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে৷’
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1492745741197983750
প্রথা অনুযায়ী, শীতকালীন অধিবেশন শেষের পর পরিষদীয় দফতরের তরফে রাজ্যপালের কাছে অধিবেশন শেষ হওয়া সংক্রান্ত ফাইল পাঠানো হয়৷ কিন্তু রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে সেই ফাইল দেরিতে পাঠায় সরকার৷ গতবছর ১৭ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়েছিল৷ ফাইল পাঠানো হয় ১০ ফেব্রুয়ারি৷ সেই ফাইলে সই করে টুইট করেন রাজ্যপাল৷