বোলপুর: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করল বিশ্বভারতী। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীতে ছাত্র বিক্ষোভ ও অপ্রীতিকর পরিবেশের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশংসনীয়।
তিনি লিখেছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভের নামে গুন্ডামি হয়। বীরভূম জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায় না। আন্দোলনের নামে আধিকারিক, কর্মীদের তালাবন্দি করে রাখে পড়ুয়ারা। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর দেওয়া পাঁচিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কোনও হস্তক্ষেপ করেনি জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের স্বস্তি মিলল না হাইকোর্টে
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মহম্মদ আলিকে হেনস্তা করার পর তথাকথিত ছাত্র নেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন। এই পদক্ষেপের পর ছাত্র-তাণ্ডব আশা করি খানিকটা কমবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রাজ্য সরকার ছাত্র-তাণ্ডব বন্ধ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নজর দেবে। ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় চান না যে, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গুন্ডামির আখড়া তৈরি হয়। বিশ্বভারতী যেহেতু একটা কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান, তাই এ ধরনের অসভ্যতা, অভদ্রতা এবং অমানবিক ব্যবহারের সম্মুখীন হয় হামেশাই।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত মাসে অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে ছাত্ররূপী কিছু যুবক-যুবতীর যে ব্যবহার দেখা গেল তা আর যাই হোক ছাত্রসুলভ নয়। সারারাত ধরে শিক্ষক এবং বিশ্বভারতীর অন্যান্য কর্মচারীরা অত্যাচারের শিকার হলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিস ও সরকারি অন্যান্য আধিকারিকদের জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হল না। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করলেন।
আরও পড়ুন: Giyasuddin Alia University: ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে, গ্রেফতারের পরই দাবি গিয়াসের বাবার
মহুয়া আরও লিখেছেন, যাঁরা বিশ্বভারতীর ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন, তাঁরা মনে করেন এটা তাঁদের জয়। বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। তিনি লিখেছেন, বিশ্বভারতী যখন ভাঙা পাঁচিল তৈরি করার জন্য লোক পাঠাল তখন বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে তাদের ধমকি দেওয়া হল। পুলিস-প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হল না।
আলিয়ায় পুলিসি ভূমিকা দেখে আমরা কি আশা করতে পারি যে বিশ্বভারতী আর দুয়োরানি থাকবে না। রাজ্য সরকার এবং পুলিস-প্রশাসন একইভাবে ব্যবস্থা নেবে যখন যে কোনও ধরনের তাণ্ডব বিশ্বভারতীকে গ্রাস করবে।