নদিয়া: চাকদহ (Chakdaha) ব্লকের পোড়াগাছা প্রাইমারি স্কুলের বুথে তালা বন্ধ করে দিল গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ এক ঘন্টা ঠিকঠাক ভোট চলার পর ১০-১২ জন বাইক বাহিনী নিয়ে এসে বুথের ভেতর ঢুকে ছাপ্পা মারছিল। বুথে দায়িত্বে মাত্র একজন পুলিশকর্মী ছিলেন। ভোট কেন্দ্রে ছিল না কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। কিন্তু পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিল। গ্রামবাসীদের বলার সত্ত্বেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। এরপরে বুথে তালা দিয়ে দেয়। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
এদিন গ্রামবাসীরা দুষ্কৃতীদের মারধর করে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ছাপ্পা মারছিল। তারা হাতে নাতে ধরে ফেলে, তাই এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে পারেনি। অভিযুক্তদের ধরে গাছে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিহার সকালে নদীয়ার চাপড়ার কল্যাণদহে আরও একজন ভোটের বলি। খুন তৃণমূল কর্মী আমজাদ আলি শেখ। দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয় আমজাদ আলি নামক এক তৃণমূল কর্মীর। চাপড়ার ৪৮ নম্বর বুথের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট দিতে যাওয়ার সময় ১০-১১ জন তৃণমূল কর্মীর উপর চড়াও হয় কংগ্রেস সমর্থিত দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে। সেই হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে আমজাদের।
আরও পড়ুন: WB CEC | ভোট চলাকালীন জেলাশাসক, পুলিশ কর্তাদের কী বার্তা নির্বাচন কমিশনের
শাসকদল বনাম বিরোধীদের গ্রাম দখলের লড়াইয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত অবিরাম সন্ত্রাস, বোমাবাজি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরপর পড়ে রয়েছে গোটা দিন। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র আগুন জ্বলছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধী দলগুলি সম্মিলিত শক্তিতে তাদের উপর আছড়ে পড়ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি শাসকের বিরুদ্ধে পুলিশি মদতে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে। তবে স্থানীয় গ্রামবাসী ও ভোটারদের অভিযোগ, প্রায় কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। পুলিশও নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। ফলে, যে দলেরই হোক সকাল থেকে ভোট-দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে গ্রাম বাংলা।