বোলপুর: অনশন ও ধরনায় বসলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের মূল মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সহ কর্মীদের নিয়ে অনশন ও ধরনায় বসেন উপাচার্য। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে কর্মসূচি চলবে বিকেল পর্যন্ত।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপিকা মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাদবপুর কাণ্ডের পর সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন হয়েছেন এক ছাত্রী এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এই খবরটি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বভারতী পরিবার কলুষিত হয়েছে। তারই প্রতিবাদে উপাচার্যের এই অনশন এবং ধরনা কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: তৈরি হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ভাঙল সেতু
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ভিবি কনফেশন নামে একটি গ্রুপে ছাত্রীর করা পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। তাতে শান্তিনিকেতনে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই পোস্টে এক ছাত্রী কোনও নাম উল্লেখ না করে তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। এমনকী এই ঘটনার সঙ্গে এক অধ্যাপক জড়িত আছে বলেও অভিযোগও করা হয়। আর সেই ফেসবুক পোস্ট সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় তৈরি হয়। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ওই ছাত্রী লেখেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে এখানে পড়তে এসেছিলাম। কিন্তু আর পারছি না। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। আজ বাধ্য হয়ে লিখলাম। গ্র্যাজুয়েশনের সেকেন্ড ইয়ার থেকে শারীরিকভাবে কয়েকজন পশুর ন্যায় শিক্ষকের শিকার হয়েছি আমি। আজ বলতে বাধ্য হলাম। কারণ আর পারছি না। শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা আর বিশ্বভারতীতে পড়া আমার জীবনে যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মা, বাবা আর আমার এক ভাই আছে। এখনও যে বেঁচে আছি শুধু তাঁদের জন্যই। কিন্তু এই শারীরিক নির্যাতন আমায় শেষ করে দিয়েছে। তবে ছাত্রীর করা এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপিকা মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে এদিন অনশনে উপাচার্য সহ অধ্যাপকেরা।