বোলপুর: জমি বিতর্কে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ালেন আরও এক মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউনিজ স্টিগলিটস। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের হয়ে চিঠি দিলেন তিনি। এছাড়াও, অধ্যাপক সেনের পক্ষে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি দিলেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমিয় কুমার বাগচী। উল্লেখ্য, এর আগে দেশ-বিদেশের ৩০৪ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শককে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একারলফ।
বর্ষীয়ান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছে বিশ্বভারতীর। এই অভিযোগ তুলে ভারতরত্ন অধ্যাপক সেনকে জমি হরফকারী, জমি কবজাকারী বলে বলে উল্লেখ করে জমি ফেরত চেয়ে উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকী, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদকে তীর্যক ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও, বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন অধ্যাপক সেন।
আরও পড়ুন: Parliament-Manipur | লজ্জায় জাতির মাথা হেঁট, মণিপুর নিয়ে মুখ খুললেন মোদি
কিন্তু, একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনকে হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷ এছাড়া, পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রকর যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রশন্ন ভট্টাচার্য, সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন প্রমুখেরা। এমনকী দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদেরাও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ৩০৪ জন শিক্ষাবিদ চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে সরবও হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার একারফল, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান তথা ভারত সরকারের প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু প্রমুখ। এমনকি, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল বর্ষিয়ান মার্কিন ভাষা বিজ্ঞানী নোম চমস্কিকেও।
এবার নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ভারতের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন আরও এক মার্কিন অর্থনীতিবিদ জোসেফ ইউনিজ স্টিগলিটস। ২০০১ সালে তিনি তথ্য অর্থনীতির উপর জর্জ আর্থার একারলফ ও এণ্ড্রু মাইকেল স্পেন্স-এর সঙ্গে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমিয় কুমার বাগচীও।