ওয়েব ডেস্ক: শনিবার সকাল থেকেই ফের উত্তপ্ত (Violence) মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ান ও সামসেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিন সকালে ফের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। গুলিবিদ্ধ (Shot) হন দু’জন। এর আগে শুক্রবার সুতি এবং সামসেরগঞ্জে গুলি চালনার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন এক কিশোর সহ আরও একজন। শুধু গুলি নয়, বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনাও ঘটে। তাতে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর থেকেই এলাকায় টহলদারি শুরু করেছে বিএসএফ। রাতভর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হয়। তবে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক ভাঙচুরের চিত্র ধরা পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল অফিসে আগুন লাগানোর পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং বাইক। এমনকি কিছু সরকারি ভবনেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: স্কুল সার্ভিস কমিশনের সামনে আজও অবস্থান-বিক্ষোভে চাকরিহারারা
যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সংযমের সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। তিনি জানান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শান্তির বার্তা দিয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখেন, “সব ধর্মের সকল মানুষের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনো অ-ধার্মিক আচরণ করবেন না। প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান, রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। দাঙ্গা যারা করছেন তারা সমাজের ক্ষতি করছেন।”
দেখুন আরও খবর: