হাওড়া: সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer Harrasment) কোমরে দড়ি বেঁধে কানধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনার ছবি ভাইরাল হতেই তদন্তে হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্লোজ করা হয়েছে উদয়নারায়নপুরের পেঁড়ো থানার ওসিকে (Udaynarayanpur Peron OC Close)। কেন ঘটনার খবর ওসির কাছে ছিল না? ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালিগালাজ করার অভিযোগে পেঁড়ো থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে কোমরে দড়ি বেঁধে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, ১৩ জুন শুক্রবার সেই ঘটনার ভিডিও সামনে আসে। তবে ওই ভিডিওয় সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া আর যাদের দেখে যাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার আমতার পেঁড়ো থানার বসন্তপুর বাজার এলাকায় দুপুরবেলায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করা হয়। কোমরে এবং পায়ে দড়ি দিয়ে তাকে বাঁধা অবস্থায় কান ধরে ওঠবস করানো হয়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ সে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা বলেছিল।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় কে বা কারা তাকে জোর করছে যাতে সে স্বীকার করে স্থানীয় বিজেপির মন্ডল সভাপতি তাকে ওই কথা বলতে উস্কানি দিয়েছিল। ‘কেন তুই দল নিয়ে খারাপ কথা বলেছিস? কে তোকে গালিগালাজ করতে বলেছে?’ যদিও শ্রীধর চক্রবর্তী নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তা স্বীকার করতে চায়নি। এই ঘটনার ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: ২৬-র ভোটের আগে মিল কেষ্ট-কাজলের!
হাওড়া গ্রামীনের বিজেপির সহ সভাপতি রমেশ সাধুখা বলেন তৃণমূল কর্মীরা ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করে। যদিও উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এবং হাওড়া গ্রামীনের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কু কথা বলছিল। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে চড় মারে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। এদিকে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশের সুপার সুবিমল পাল বলেন মারধোরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ উলবেরিয়া আদালতে তোলা হবে। এই ঘটনায় পেঁরো থানার ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে কর্তব্য গাফিলতির জন্য। পাশাপাশি ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন