বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় শুটআউটের ঘটনা ঘিরে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উঠে এল সামনে। সূত্রের খবর, বর্ধমানের এককালের দাপুটে তৃণমূল নেতা জঙ্গল শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখকে মারার জন্যে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলে তাঁদের গাড়ির উপর হামলা হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি মোটর বাইকে চেপে চার দুষ্কৃতী অন্তত ১৪ রাউন্ড গুলি চালায়। তাতে গাড়ির তিন আরোহী জখম হন। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুস্কৃতীদের লক্ষ্য করে পুলিশও তিন রাউন্ড গুলি চালায়। কিন্তু দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত বাঁকুড়া এবং দুর্গাপুরের পুলিশ রাস্তায় নাকা তল্লাশি চালায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গোলমালের মাঝেই সাদ্দাম গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৭ বছর পর সাদ্দাম এদিন বাঁকুড়ার জেল থেকে ছাড়া পায়। তাঁর বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। তাঁকে আনতে গলসি থেকে জানা পাঁচেক তৃণমূল নেতা গাড়ি নিয়ে বাঁকুড়ায় যান। সাদ্দামকে নিয়ে ফেরার পথে অনেকক্ষণ ধরেই দুটি মোটর বাইকে চেপে চার দুস্কৃতি ওই গাড়িটি ফলো করছিল। কেশিয়াকোলের কাছে দুষ্কৃতীরা গাড়িটি আটকায়। তারপরেই মুহুর্মুহু গুলি চলে। গুলিতে চালক সহ তিনজন জখম হন। সাদ্দাম এবং আরও একজন গাড়ির সিটের নীচে লুকিয়ে ছিলেন। ইতিমধ্যে গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ চলে আসে। পুলিশও তিন রাউন্ড গুলি চালায়। তবে সেই গুলি দুষ্কৃতীদের গায়ের লাগেনি। এই ডামাডোলের মধ্যেই সাদ্দাম গাড়ি থেকে নেমে পালান। রাত পর্যন্ত তারও খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া বা ভারত নাম কবে, কোথা থেকে এল?
তৃণমূলের অন্দরের খবর, গলসির নেতারা চেয়েছিলেন এদিনই ঢাকঢোল পিটিয়ে সাদ্দামকে তৃণমূলে যোগ দেওয়াতে। গলসিতে সেরকমই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্ধমান জেলায় সাদ্দাম বিরোধীরা এটা চায়নি। সেই কারণেই সাদ্দামকে নিকেশ করার ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু সাদ্দামের গায়ে এদিন আঁচড় পড়েনি।