কেতুগ্রাম: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছিল, সব বুথে সমান হারে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers ) ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু কেতুগ্রামের (Ketugram ) বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ নম্বর বুথে শনিবার দেখা গেল না রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও জওয়ানকে। দুজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে ওই বুথে ভোট করানো হচ্ছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বুথটি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত। আদালতের পরিষ্কার নির্দেশ ছিল, স্পর্শকাতার বুথে অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। কিন্তু ওই বুথে আদালতের সব নির্দেশই উপেক্ষা করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ ভোটারদের। আরও আশ্চর্যের বিষয়, ২২ নম্বর বুথে সকাল থেকে কোনও বিরোধী দলের এজেন্টকে বসতে দেখা যায়নি। এই এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ভোট হচ্ছে কেবল পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ আসনে। বুথে গিয়ে দেখা গেল, শুধু শাসকদলের এজেন্টরা বসে রয়েছেন। বিরোধীদের এজেন্ট কোথায়, জানতে চাওয়া হলে ওই এজেন্টরা বলেন, সেটা আমরা কী করে বলব। ওরা হয়ত এজেন্ট খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Katwa | ভোট শুরু একঘণ্টার মধ্যেই শেষ, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিরোধীদের
বিরোধীরা এই বুথের উদাহরণ টেনে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। যদিও বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের কোনও নির্দেশই মানছে না। কেতুগ্রামের মতো অনেক বুথেই সকাল থেকে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি। সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এদিন সকাল থেকেই জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে ব্যাপক হিংসা ছবি ধরা পড়েছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।