কোচবিহার: তৃণমূল কর্মীর (Trinamool Congress Worker) দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূল কর্মীর নাম দুলাল বিশ্বাস(৩৫)। মৃতের পরিবারের দাবি, এলাকার বিজেপির কর্মীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল কিছু দিন আগে। এমনকি দুলালকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মাথাভাঙা (cooch behar Mathabhanga) দুই ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় করেছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বিক্ষোভ কর্মসূচির পর রাতে এক বাড়িতে পিকনিক হয়। পিকনিক হওয়া সেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাশের একটি ডোবা থেকে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত দুলাল বিশ্বাসের মা আরতি বিশ্বাস বলেন- “তিন মাস আগে আশপাশের কয়েকজন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। এমনকি দুলালকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খাম হাতে নিয়ে ফের ইডির বিরুদ্ধে তোপ কুন্তলের
গতকাল রবিবার রাতে পিকনিকের পর দুলাল বিশ্বাস আর বাড়ি ফেরেনি। আশঙ্কা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কোচবিহার জেলা তৃণমুল সভাপতি বলেন, এলাকায় বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। দুলালকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, দোষীদের পুলিশ অবিলম্বে গ্রেফতার করুক। এপ্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন- তাদের পিকনিক ছিল। সেখানে তার দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোন যোগ নেই। তৃণমূলের অনেক গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের মধ্যেই কারুর কাজ হতে পারে। পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে সমস্ত বিষয় সামনে আসবে।