কলকাতা: সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিজেপির সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেসের। সোমবার সকাল থেকেই দলের কর্মী সমর্থকরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে বসে পড়েন। বিজেপির দফতরে ঢোকার মূল দরজায় ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আপাতত বিজেপি কর্মীদের পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির কয়েকজন কর্মী পার্টি অফিসের সামনে দলীয় পতাকা লাগাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বচসা শুরু হয়। পুলিশি তৎপরতায় তা বড় আকার নেয়নি। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই। সেখানে জঙ্গলরাজ চলছে। সায়নী ঘোষকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়া দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘অনুমতি দিলেও পথসভা করব না’, আগরতলা পৌঁছেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা অভিষেকের
সোমবার সকালে আগতলায় পৌঁছেই বিজেপিকে একহাত নেন অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, চূড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে৷ গণতন্ত্রের স্তম্ভকে আক্রমণ করা হচ্ছে৷ জঙ্গলরাজ চলছে৷ ‘সায়নী কী এমন করেছিল যে ওকে গ্রেফতার করা হবে৷ স্লোগান দিয়েছিল৷ খেলা হবে বলেছিল৷ তেমন স্লোগান তো নরেন্দ্র মোদিও দিয়েছিলেন৷ তাহলে কী মোদিকেও গ্রেফতার করা হবে?’
তৃণমূলকে দেরি করে পথসভা করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সরব হন অভিষেক৷ জানান, রাত সাড়ে ১২টায় চিঠি দিয়ে বলা হচ্ছে পরের দিন দুপুর ১২টায় পথসভা করা যাবে৷ কিন্তু পথসভার আয়োজনের জন্য এই সময় যথেষ্ট নয়৷ মঞ্চ বাধা থেকে শুরু করে কর্মীদের জানানো- এগুলো করতে অনেক সময় লাগে৷ তাই পুলিশ অনুমতি দিলেও পথসভা না করার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী৷ বলেন, দুপুর ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠক করব৷
আরও পড়ুন: বিপ্লব দেব সরকারের নির্দেশের পরোয়া না করেই ত্রিপুরা রওনা অভিষেকের