কলকাতা: ভোটের ময়দানে গেরুয়া শিবিরকে পর্যদস্তু করেছে তৃণমূল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় টক্করে এখনও কয়েক কদম এগিয়ে গেরুয়া শিবির। সামনেই ২০২২-এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার পর ২০২৪-এ দিল্লি দখলের লড়াই। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে টেক্কা দিতে ফেসবুক, টুইটারের পর এ বার সামাজিক মাধ্যম ‘কু’-তেও নিজের অ্যাকাউন্ট তৈরি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘কু’-তে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ‘কু’-তে বিজেপির শীর্ষ নেতারা ছাড়াও সক্রিয় রয়েছেন কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের নেতারা। সর্বভারতীয় স্তরে দলের প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াতেই অভিষেকের এই পদক্ষেপ, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মন কি বাতে আত্মনির্ভর অ্যাপ ‘কু’-র কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলের পথে ত্রিপুরার ১৬ বিজেপি বিধায়ক
২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল ‘কু’। মূলত টুইটারকে টেক্কা দিতেই ময়দানে নামে মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ ‘কু’। সিইও অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ এই অ্যাপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে কু আটটি ভাষায় উপলব্ধ রয়েছে। মাত্র ১৬ মাসে ১ কোটির বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপ। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বনির্ভর অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ জেতার পর ‘কু’ অ্যাপের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
এখন প্রশ্ন হল কী কারণে ‘কু’-তে অ্যাকাউন্ট খুললেন অভিষেক? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত কয়েক মাসে রাজনীতি, বিনোদন এবং খেলাধুলা ক্ষেত্রের অনেক সেলিব্রেটি এই অ্যাপের দিকে ঝুঁকেছেন। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪-এ লোকসভা তো রয়েইছে। তার আগে নয়া এই প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করে দল এবং দলের মতবাদকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই পথ নিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডির প্রশ্নের লিখিত জবাব দিলেন অভিষেক