মালদহ: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদ বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের (TMC) অন্দরে ক্ষোভ অব্যাহত। দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে টায়ার জ্বালিয়ে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন হরিশ্চন্দ্রপুর (Maldah Harishchandrapur) বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, দলে পরিবারতন্ত্র চলছে। জেলা সভাপতি টাকার বিনিময়ে পদ বণ্টন করছেন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে। পাল্টা কাটাক্ষ বিরোধীদের।
মঙ্গলবার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছিল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সংবাদমাধ্যমের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন একাধিক জেলা পরিষদ সদস্য। বুধবার সেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল হরিশ্চন্দ্রপুরে। হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময় পদ বিলির অভিযোগ উঠল। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য মকরম আলি ওরফে স্বপন ও দলের বহু নেতা-কর্মী এদিন বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যু, আদালতে ধাক্কা রাজ্যের
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মালদহ জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা ছিল। সেখানে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কোনও জয়ী সদস্য কর্মাধ্যক্ষ পদ পাননি।এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী। বিশেষত হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা থেকে জেলা পরিষদে কর্মাধক্ষ্যের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা বুলবুল খান এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন। কিন্তু দুজনের কেউই পদ পাননি। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। তাই হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা থেকে কেউ পদ পাননি। মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি। কর্মাধ্যক্ষ পদ দেওয়া হয়েছে রহিম বক্সির ছেলে রিয়াজুল করিম বক্সি ওরফে বাবু বক্সিকে। সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও দুজন করে কর্মাধ্যক্ষ পদ পেয়েছেন। কিন্তু বঞ্চিত করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরকে।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আরও অভিযোগ, জেলা সভাপতি এবং পরামর্শদাতা সংস্থা মিলে ভোটের আগে জেলা পরিষদের টিকিটও টাকা দিয়ে বিক্রি করেছেন। প্রসঙ্গত, মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত। ওই এলাকায় তৃণমূলের উত্থানের অন্যতম কাণ্ডারি।তাই বুলবুল খান পদ না পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি রহিম বক্সি। টাকার বিনিময়ে পদ বিলির অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।