হাওড়া: হয়রানি…এই শব্দটা বহুকালের পরিচিত শব্দ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (South Eastern Railway) খড়গপুর ডিভিশনে (Kharagpur Division)। অবরোধ হলে ২-৩ দিন সময়ে ট্রেন চলে। কিন্তু ব্যাস, তারপর সেই একই অবস্থা। একটু সন্ধ্যা হলে ১ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন চলবে, এ এমন কী ব্যাপার! ধরুন আপনি হাওড়া থেকে খড়গপুর বা আগে-পরে কোথাও যাবেন, কাজের জায়গা থেকে যথা সময়ে বেরিয়ে হাওড়া স্টেশনে গেলেন। কিন্তু ট্রেনের দেখা নাই! এটা যদি আবার উল্টো মানে ডাউনের সময় দেখেন তাহলে কিছুটা ভদ্রস্থ। সেখানে দেরি হওয়ার সময় একটু কম। তবে অফিস টাইমে ২-১টি ট্রেন সময়ে চললেও টিকিয়াপাড়া থেকে হাওড়া ঢুকতে খুব কম হলে আধ ঘণ্টা দেরি যে হবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাবলে ব্যতিক্রম হয় না। হ্যাঁ, হয়! তিন মাসে ২-৩ বার। খুব ভালো ভাবে ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়ে বা ঢোকে। আর বিশেষ কোনও দিন থাকেল তখন ঠিকঠাক চলে। আর বাকি দিনগুলো?
না না, একথা সংবাদমাধ্যম বলছে না। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ সাধারণ মানুষ যাঁরা এই ট্রেনে যাতায়ত করে তাঁদের কাজের জায়গায় পৌঁছয় তাঁদের কথা। ভুরি ভুরি অভিযোগ। সময়ে ট্রেন চলে না। এই রোগের ওষুধ এখনও রেল কর্তৃপক্ষ বের করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: উধাও ঠান্ডা, সপ্তাহ শেষে ফের ফিরবে শীতের আমেজ
তারপর আজ অর্থাৎ বুধবার ট্রেন বেলাইন হলো। জানা গিয়েছে, হাওড়ার টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে লাইনচ্যুত হয় বাগনান লোকাল (Bagnan Local)। এদিন সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ট্র্যাক বদলানোর সময় বাঁধে বিপত্তি। এই ঘটনায় লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে কোনও যাত্রীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার খবর পাওয়ার পর রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু সময়ে ট্রেন না চলার সমস্যার সমাধান কবে হবে? এই উত্তর কি আদৌ দিতে পারবে দক্ষিণ পূর্ব রেল কতৃপক্ষ? সাধারণ মানুষ যদি সঠিক পরিষেবা না পান, তার জন্য দায়ী কে? এই প্রশ্নটা এখন বড্ড বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: