ডেবরা: মুহুর্তের মধ্যে আগুনে ধুলিসাৎ হয়ে গেল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৬ নং জলিমান্দা অঞ্চলের রঘুনাথপুর এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডেবরা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর রাতে হঠাৎ করেই রঘুনাথপুরের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি স্থানীয় কিছু মানুষজন ছুটে আসে। ছুটে আসে পার্টি কর্মীরাও। তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পার্টি অফিসের ভিতরে থাকা দলীয় পতাকা, টিভি,পাখা সহ অনান্য সরঞ্জাম। আর এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Murshidabad | ভোট হিংসায় এনআরএসে মৃত্যু হল আহত তৃণমূলকর্মীর
ডেবরায় বিজেপি ভালো ফল করতে না পারায় রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও কর্মী জড়িত নয়। পুরো বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখুক। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ডেবরা থানার পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনা ঘটার পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা ডেবরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রদীপ কর। তিনি দলীয় কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এদিনই পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগামী কয়েকদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সহ শীর্ষ আধিকারিকেরা।
প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠকে মুখ্যসচিবের নির্দেশ, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এরিয়া ডমিনেশন বা রুটমার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার চালিয়ে যেতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে যেসব জায়গায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সেই সব এলাকায় কঠোরভাবে নজরদারি করার কথাও বলেন তিনি। প্রয়োজনে সেখানে আগেভাগেই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।