ইডি, সিবিআই নাকি তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সেই অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার বিধানসভায় এলেন। বিধানসভার তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে অংশ নিলেন। তবে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করলেন না। মানিক বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। তদন্তকারী সংস্থাকে একশো শতাংশ সহযোগিতা করছি। এর বাইরে আর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।
প্রাথমিক টেটে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে মানিকের। জেলে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টেপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মানিক। টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলাও করার সুপারিশ করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে সরতে হয়ছে। সম্প্রতি মানিকের জায়গায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পালকে সভাপতি করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। একাধিকবার তাঁর বাডি়তে এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ইডি এবম সিবিআই দাবি করে, মানিককে তারা খুঁজে পাচ্ছে না। তলব পাওয়া সত্ত্বেও হাজিরা দিচ্ছেন না তিনি। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই। তার দুদিন পরেই যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে বাড়ির বারান্দায় খানিকক্ষণের জন্য তাঁকে হাজির হতে দেখা যায়। অপেক্ষারত সাংবাদিকদে্র তিনি বলেন, আমি বাড়িতেই আছি। ছবি দেখে বিশ্বাস করছেন তো? এবার আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দিন। এই কটি কথা বলেই তিনি ঘরে ঢুকে পড়েন। তার পর এদিনই প্রথম মানিককে প্রকাশ্যে দেখা গেল। তিনি বিধানসভা ভবনে দলের কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে কথাও বলেন।