বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার খয়রাশোলে প্রচারে যান তৃণমূল সাংসদ। তাকে দেখেই গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানান। পানীয় জল-সহ একাধিক দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারান শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।
আর মাত্র হাতগোনা ১২ দিন বাকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023)। ভোটকে পাখির চোখ করে প্রচারের ঝড় তুলতে ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় প্রচারে নেমে পড়েছে। এই প্রচারে নেমে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের। রবিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সিউড়িতে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শতাব্দীকে। সেই রাস্তা মেরামতের জন্য এলাকাবাসী সাংসদের কাছে লিখিত দাবি জানায়। রবিবারের পর সোমবার বীরভূমের খয়রাশোলে ক্ষোভের মুখে সাংসদ শতাব্দী রায়। খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত গাংপুর গ্রামে সাংসদ দেখেই পানীয় জল-সহ একাধিক দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় হামলায় ১১ জন কুড়মি নেতার জামিন
স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারান শতাব্দী রায়। তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামবাসীরা বাড়ি পেয়েও মিথ্যে কথা বলছে। না পাওয়ার তালিকা নিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। শতাব্দী রায় মেজাজ হারাতেই স্থানীয়দের কিছুটা সংযত হয়। এরপর সকলের মধ্যস্থতায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
রবিবার সিউড়িতে বিক্ষোভের মুখে পড়ে শতাব্দী। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের দাবি। শুধু পানীয় জল নয়, বর্ষায় এসে গিয়েছে, জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ভাঙাবাড়ির ফুটো চাল দিয়ে জল পড়ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস থেকে ত্রিপলও মেলেনি। গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা।এর আগে দিদির দূত হয়েও বীরভূমের মহম্মদবাজার, সিউড়ি, খয়রাশোল ব্লকে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী। হাসন বিধানসভার একটি গ্রামে গিয়ে খাবার ফেলে উঠে যাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শতাব্দী অবশ্য সেটি সংবাদমাধ্যমের সাজানো ছবি বলেই দাবি করেছিলেন।