বীরভূম: শুধু বীরভূম (Birbhum) জেলা নয়, রাজ্যে সম্ভাব্য সবচেয়ে বেশি জেলা পরিষদের আসনে লিড দিয়ে জয়ী হয়েছেন অনুব্রত বিরোধীমুখ মুখ হিসাবে পরিচিত তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থী কাজল শেখ (TMC Leader Kajol Shekh)। বুধবার বোলপুর মহকুমা শাসক দফতরে এসে জয় শংসাপত্র গ্রহণ করেন কাজল। এই প্রথম কোনও নির্বাচনে জেলায় অনুপস্থিত অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর বিরোধী মুখ হিসাবে পরিচিত কাজলকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য করছিলেন। সেই কাজল ২০২৩ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের বীরভূমের নানুর বিধানসভার ১৯ নম্বর আসনের জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। ৪৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। এদিন বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরে কাজল শংসাপত্র গ্রহণ করেন।
কলকাতা টিভি অনলাইনের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তিনি বলেন, “৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবন আমার। আমি এর আগে না কোনও অঞ্চল সভাপতি, না কোনও ব্লক সভাপতি, না কোনও এমএলএ, না কোনও এমপি পদ দাবি করেছি। নেতা হওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। এখনও নেই। আমার ইচ্ছা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে অনুসরণ করে চলা। আমার ইচ্ছা ছিল অন্যায় যে করবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এখন ভোটে দাঁড়ালাম কারণ নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে মানুষ আমার নামটি দিয়ে
আরও পড়ুন: Panchayat Result 2023 | Malda | ভোটের ফলের পরেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মালদহে বলি এক
কেষ্টহীন বীরভূম জেলায় ভোটের অনেক আগে থেকেই আশাবাদী ছিলে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। আর বিপুল ভোটেই জয়লাভ করলেন তিনি। কারণ কাজল মানেই নানুরে ম্যাজিক ম্যান। ২০১৬ সালে তাঁর জাদু বলে তৃণমূলকে হারিয়ে সিপিএমকে নানুর বিধানসভা পাইয়ে দিয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমে কাজল ম্যাজিক দেখিয়েছেন। নানুর বিধানসভায় ছটি অঞ্চল বিরোধী শূন্য। বোলপুর ব্লকে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই নানুরে মোট ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূলের। নানুর বিধানসভার কসবা, সিয়ান, বাহিরী, কঙ্কালীতলা, শিঙি সহ ছয়টি অঞ্চল বিরোধীশূন্য।